সরকারি চাকরির নিম্ন গ্রেডে থাকা কমর্চারীরা মনে করছেন, বর্তমান বেতন কাঠামোতে বিদ্যমান বৈষম্য রেখে ‘সমান হার’-এ বেতন বৃদ্ধি হলে তাঁদের তেমন উপকার হবে না। উল্টো বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন কর্মচারী নেতারা।
বুধবার গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নজরুল ইসলামের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। সরকারি কর্মচারীদের বর্তমান বেতন কাঠামো ২০টি গ্রেডে বিভক্ত। এর মধ্যে ১০-২০ গ্রেডের কর্মচারী বেতন কাঠামোয় বৈষম্য রয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
কর্মচারী নেতারা বলছেন, ২০০৫ থেকে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে ঘোষিত পে স্কেলের এক ধাপ থেকে আরেক ধাপের বেতন বৃদ্ধির তুলনামূলক বিবরণী পর্যালোচনা করে বৈষম্যের চিত্র পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়। বেতন স্কেলের ধাপের এ বৈষম্য আগে নিরসন করতে হবে। তারপর মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যস্ফীতির জন্য বিশেষ ইনক্রিমেন্ট যোগ করতে হবে। না হলে বৈষম্য দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করবে।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবি জানিয়ে বলা হয়, এসব দাবি সরকারের পক্ষ থেকে পূরণ করা হলে কর্মচারীরা সমানভাবে উপকৃত হবেন। দাবির মধ্যে রয়েছে– প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জন্য এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি প্রণয়নসহ অবিলম্বে ‘কর্মচারী পুল’ গঠন। পে স্কেলে ১০-২০ গ্রেডভুক্ত কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির গড় বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী বৃদ্ধি। কর্মচারীদের ৮, ১২ ও ১৫ বছর চাকরিপূর্তিতে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল, রেশনিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব বাজেটে স্থানান্তরিত পদের পদধারীদের চাকরি নিয়মিতকরণ ও জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ বিধিমালা, ২০০৫ বাস্তবতার আলোকে হালনাগাদ ও সংশোধন নিশ্চিত করা।
এদিকে কর্মচারীদের ৬০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি ও নবম জাতীয় বেতন স্কেল দাবি করে বুধবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি।