কুড়িগ্রামের চিলমারীতে কয়েক মাস ধরে কলেজে উপস্থিত না হয়ে এক শিক্ষিকা মাস শেষে বেতন-ভাতা তুলছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় ওই শিক্ষিকার পরিবর্তে তার স্বামীকে দিয়ে শিক্ষকদের দৈনিক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করারও অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষকরা বলছেন, অধ্যক্ষকে উৎকোচ দেয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরে কলেজে না এসেও বেতন-ভাতাসহ সকল সুবিধা ভোগ করেছেন ওই শিক্ষিকা। তবে অধ্যক্ষের দাবি, উৎকোচ নেয়া বিষয়টি ভিত্তিহীন। এদিকে কলেজে না এসে বেতন উত্তোলনে বিষয়টি অন্য শিক্ষকদের মাঝে জানাজানি হলে সবশেষ ৭ মে থেকে মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকার নাম মোছা. জিনাত আরা। তিনি চিলমারী মহিলা ডিগ্রি কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিষয়ের প্রভাষক।
ওই প্রভাষক (শিক্ষিকা) টানা প্রায় ৪ থেকে ৫ মাস কলেজ না এসে তার স্বামীকে পাঠিয়ে হাজিরা খাতায় একদিনে সব স্বাক্ষর করেছেন বলে মৌখিকভাবে নিশ্চিত করেছেন কলেজটির অফিস সহায়ক আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ৭ জুন হঠাৎ এসে হাজিরা খাতায় ফাঁকা করা সব ঘরে স্বাক্ষর করে চলে যান।
প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হুদা পারভেজ বলেন, জিনাত আরা পরিবর্তে তার স্বামী স্বাক্ষর কীভাবে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন সেটি আমার বধোগম্য নয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন সেটা আমি বুঝি।
প্রভাষক (গার্হস্থ্য অর্থনীতি) মাছুমা আক্তার বলেন, জিনাত আরা বেশ কয়েক মাস থেকে কলেজে আসেন না এটি সত্য, তাই মাঝে মাঝে ওনার ক্লাস গুলো আমাকে নিতে হয়, ওনার পরিবর্তে তার স্বামী হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেছেন সেটিও শুনেছি।
অভিযুক্ত প্রভাষক (গার্হস্থ্য অর্থনীতি) মোছা. জিনাত আরার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ভুল নাম্বার বলে ফোন কেটে দেন।
জিনাত আরার স্বামী জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমি ৭ জুন কলেজে গিয়েছিলাম, কিন্তু আমি হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করিনি।’
কলেজ না এসে কীভাবে বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন ওই শিক্ষিকা এমন প্রশ্নে কোনো উত্তর দেননি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জীতেন্দ্র নাথ বর্ম্মন। তিনি বলেন, ‘কিছু শিক্ষক নিয়মিত আসেন না এটি সত্য। উৎকোচ নেয়ার বিষয়টি ভিত্তিহীন।’