বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার্থে বাংলাদেশে আসা চীনের চিকিৎসক দল সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহ মো. হেলাল উদ্দীন। তিনি বলেছেন, ‘চিকিৎসাধীন গুরুতর আহতদের প্রয়োজনে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হবে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত সচিব এ তথ্য জানান। বাংলাদেশে আসা ওই টিমকে ‘মেডিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট টিম’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ড. শাহ মো. হেলাল উদ্দীন বলেন, ‘গুরুতর আহতদের ব্যাপারে প্রাথমিক চেষ্টা থাকবে যাতে, বাংলাদেশে সুচিকিৎসা করা যায়। চীনের মেডিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট টিমের রিপোর্ট দেখে তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে এ ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমরা চেষ্টা করছি চাইনিজ এক্সপার্টদের দেশে এনে আহতদের উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার। সে ক্ষেত্রে যদি প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি বা দক্ষতার ঘাটতি থাকে, তা হলে আহতদের বিদেশে পাঠানোর চিন্তা-ভাবনা করছি।
আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় খুবই আন্তরিক বলেও জানান অতিরিক্ত সচিব। তিনি বলেন, ‘গুরুতর আহতসহ সব আহতকে সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো ঘাটতি থাকবে না।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে অতিঅল্প সময়ের মধ্যে চীনের মেডিক্যাল টিম বাংলাদেশে আসে। চীনের মেডিক্যাল টিম ২২ সেপ্টেম্বর এসেছে ও পরদিন থেকেই কাজ শুরু করেছে। এই সীমিত সময়ের মধ্যে পাঁচটি হাসপাতালে তারা ১৬০ রোগী দেখেছে।
এই কর্মকর্তা জানান, চীনের চিকিৎসক দল ১০৫ রোগীর মেডিক্যাল রেকর্ডস পরীক্ষা করেছে। এই রোগীদের কয়েকজনের অবস্থা খুবই গুরুতর। এমন তিন রোগীর মধ্যে দুজন আইসিইউতে আছে, একজন চোখে গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। নার্ভ ইনজুরড কিছু রোগীও রয়েছে। এই টিম চীনে গিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে বাংলাদেশে একটি পূর্ণাঙ্গ অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট পাঠাবে।
ড. শাহ মো. হেলাল উদ্দীন বলেন, ‘চীন থেকে আসা মেডিক্যাল টিম গণ-অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসাব্যবস্থা এবং তাদের চিকিৎসা আমরা আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী দিতে পারছি কি না তা করেছে। তারা খুবই সন্তুষ্ট। তারা জানিয়েছে, আমাদের হাসপাতালগুলোর ইকুইপমেন্ট বিষয়ে কিছু ঘাটতি আছে।’