প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে একটি বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সততা ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে জনগণের কাজ করতে তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনের অতি নগণ্য সংখ্যক দুর্নীতিপরায়ণ ও দলবাজ কর্মকর্তা অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী শাসনামলে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতি, এমনকি জেল-জরিমানার মতো পরিস্থিতির শিকার হতে হবে। বোঝা যায় যে,
অনির্বাচিত ও অবৈধ আওয়ামী সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যে সব ষড়যন্ত্র করছে; এমন অপপ্রচার সেই ষড়যন্ত্রের’ই একটি অংশ।
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার একাধিক বক্তব্যে ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে বিএনপি’র অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। দলের পক্ষ থেকে আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, জনগণের সমর্থনে যদি বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পায়, তাহলে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা-কার্মচারীদের চাকুরির সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। কোন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দলীয় বিবেচনায় কিংবা আক্রোশমূলক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না বা কাউকেই তা করতে দেয়া হবে না। উপরন্তু, বিগত ১৫ বছর যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অন্যায়ভাবে চাকুরিচ্যুত, বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান, দীর্ঘদিন ওএসডি রাখা এবং পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে, তাদের প্রতিও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যেসব কর্তৃপক্ষের বেআইনি আদেশে কিংবা চাপে পড়ে বিতর্কিত কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন, যা প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী পরবর্তীতে অন্যায়, অবৈধ ও বেআইনি বলে পরিগণিত হবে, সেসকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির আহ্বান হলো- এখন থেকে তারা যদি আর এরূপ অন্যায়, অবৈধ ও বেআইনি কোন কাজ না করেন, তাহলে তাদের পূর্ববর্তী ভূমিকা সহানুভূতি ও ইতিবাচক দৃষ্টিতে বিবেচনা করা হবে।।
The Government Servants (Conduct) Rules, ১৯৭৯ অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কেবলমাত্র আইনানুগ আদেশ ও নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য; কিন্তু বেআইনি আদেশ মানা বা বাস্তবায়নে বাধ্য নন। এ দেশের সন্তান হিসেবেও দেশে আইনের শাসন সমুন্নত রাখা আমাদের সকলের কর্তব্য। বিএনপি একান্তভাবেই প্রত্যাশা করে যে, সরকারি কর্মকর্তা-কার্মচারীগণ কোন দল বা গোষ্ঠীর স্বার্থে কাজ না করে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সততা ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে দেশ ও জনগণের স্বার্থে দায়িত্ব পালন করবেন।