দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: প্রতিরক্ষা মহাহিসাব নিরীক্ষকের অধীন অডিটর পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িয়ে গ্রেফতার হওয়া বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবা নাসরিন রূপা এবার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।
তবে মাহবুবা নাসরিন রূপার দাবি, দুপচাঁচিয়ায় তার প্রতিপক্ষ গ্রুপ তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলেন। পরে অধিকতর তদন্তে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
মাহবুবা ছাড়াও দুপচাঁচিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফজলুল হক প্রামানিক এবং মোটরসাইকেল প্রতীকে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আহম্মেদুর রহমান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জানা গেছে, বহুল আলোচিত মাহবুবা নাসরিন রূপা বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ভুঁইপুর গ্রামের বাসিন্দা। ইডেন কলেজে পড়ার সময় ছাত্রলীগের দাপুটে নেত্রী ছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে হলের সিট বাণিজ্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ ছিল। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের মার্চে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন।
২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ২১ জানুয়ারি ডিফেন্স ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্টের অডিটর পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িয়ে পড়েন। ডিবি পুলিশ তার ব্যাগ থেকে ডিভাইস, প্রায় দুই লাখ টাকা ও প্রশ্নপত্রের উত্তরের কপিসহ বিভিন্ন কাগজপত্র জব্দ করেন। ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে দোষ স্বীকার করেন রূপা। এ ঘটনায় তাকে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
তবে রহস্যজনকভাবে মামলার মোড় ঘুরে যায়। রূপাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে ডিবি। পরে আদালতের নির্দেশে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডি তদন্ত করে। তবে সেই তদন্তেও তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি মর্মে রূপাকে অব্যাহতি দিয়ে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলার বিষয়ে মাহবুবা নাসরিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দুপচাঁচিয়ায় আমার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী একজন নেতা নেপথ্যে কলকাঠি নেড়ে ওই সময়ে ডিবিতে কর্মরত তাঁর এক আত্মীয়কে দিয়ে সামাজিকভাবে হেয় করতে প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলায় আমাকে ফাঁসিয়েছিলেন। ডিবির কর্মকর্তারা আমার ছোট ভাইকে ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করেছিলেন। ষড়যন্ত্র প্রমাণিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে, ভাইস চেয়ারম্যানের পদও ফিরে পেয়েছি।’