দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে পুরোপুরি প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। তিন বাহিনীর সশস্ত্র কুচকাওয়াজসহ পুষ্পস্তবক অর্পণের প্রস্তুতিও সম্পন্ন। সৌধ মিনারসহ পুরো চত্বরের হাঁটার পথ, বেদি, স্থাপনা সেজেছে রঙ-তুলির আঁচড়ে। বাগানগুলোতে শোভা পাচ্ছে রং-বেরংয়ের বাহারি ফুল। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভুটানের রাজার শ্রদ্ধা নিবেদন উপলক্ষে সৌধ এলাকায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ৫৪তম মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন পুরো জাতি। দিবসটিতে অনুষ্ঠিত হবে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ; পরিবেশন করবেন তিন বাহিনীর সদস্যরা। শেষ মুহূর্তে তাই কুচকাওয়াজ অনুশীলন ঝালিয়ে নিচ্ছেন তারা।
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সৌধ চত্বরে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করেছে গণপূর্ত বিভাগ। হেরিংবন্ড, ইটের পথ, শহীদ বেদি ও গণকবরে ধোয়ামোছার পর সাদা রঙের শুভ্র আভায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে পুরো সৌধ এলাকা। বৃক্ষরাজি প্রাঙ্গণ আর সবুজ ঘাসের গালিচা কেটে-ছেঁটে নান্দনিক করে তোলার কাজও শেষ করেছেন গণপূর্তের কর্মচারীরা।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য স্বাধীনতার মাসের শুরু থেকেই জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করা হয়। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজা আসা উপলক্ষে সৌধ এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার আগমন উপলক্ষে স্মৃতিসৌধ পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পুলিশ সদস্য মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।
১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে সাভারের নবীনগরে ১০৮ একর সবুজে ঘেরা ভূমির ওপর স্বাধীনতার স্মারক জাতীয় স্মৃতিসৌধ নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়।