সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পবিত্র রোজার পুরো মাসে ছুটি দেয়ার দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ। পরিষদের নেতারা বলছেন, পবিত্র এ মাসে হাইস্কুল ও কলেজে ক্লাস না হলেও খোলা থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিষয়টিকে শিশুদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে দাবি করে তা দূর করতে দাবি জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের নেতারা। এ দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন পরিষদের নেতারা।
রোববার সন্ধ্যায় সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পবিত্র রোজার পুরো মাস ছুটি দিয়ে প্রাথমিকের খুদে শিক্ষার্থীদের ছুটির বৈষম্য দূর করার দাবি জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মারকলিপি দিয়েছি। তাঁর কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়েছে। পরিষদের উপদেষ্টা ইন্দু ভুষন দেব, সাধারণ সম্পাদক এম এ ছিদ্দিক মিয়া, সদস্য সামছুদ্দিন বাবুল (লক্ষীপুর), সাজিদা জাহান (হবিগঞ্জ), আছমা খানম (গোপালগঞ্জ), আ. হালিম সরকার (কুমিল্লা),আব্দুল হাই (ত্রিশাল), রাজু আহম্মদ লেলিন (গোপালগঞ্জ), আ. কাদের (কুমিল্লা), আলমগীর হোসেন হাওলাদার (বাগেরহাট), ফরিদ আহাম্মদ (শেরপুর), মিজানুর রহমান (নেত্রকানা), জাকির হোসেন (মাদারিপুর) উপস্থিত ছিলেন।
পরিষদের দেয়া স্মারকলিপি বলা হয়েছে, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ৫৪ দিন। উচ্চবিদ্যালয়ের ছুটি ৭৬ দিন। প্রাথমিক ছাড়া সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ৭০ দিনের বেশি। স্বাধীন দেশে একই অভিভাবকদের সন্তান উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক, মাদরাসা, কলেজ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করে থাকেন। ছুটির বৈষম্য থাকায় পারিবারিক, সামাজিক উৎসব, আত্মীয় স্বজনদের বাড়িসহ নানা স্থানে বেড়াতে যেতে বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। রমজান মাসে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে, কেবল খোলা থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিশুর পড়াশোনা আনন্দদায়ক করার লক্ষে খেলাধুলা ও বেড়ানোর সুযোগ বেশি থাকা কাম্য। বিশেষ করে প্রাথমিকের শিশুরা পবিত্র রমজান মাসে মসজিদ বা মক্তবে পড়াশোনা করে থাকেন।
তৃতীয় শ্রেণি থেকে অনেক শিক্ষার্থী রোজাও রেখেন। এদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ মুসলমান, তাই প্রাথমিকে শিক্ষার্থী উপস্থিতি থাকে অতি নগণ্য। এছাড়াও অভিভাবকদের মাঝে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হয়ে থাকে। বর্তমানে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখাসহ কিন্ডারগার্টেনে অসংখ্য শিশু অধ্যয়ন করছে। বিশেষকরে পবিত্র রমজান মাসে শিশুদের মধ্যে ছুটির বৈষম্যর কর্ম নিয়ে প্রশ্নের সম্মূখীন হতে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর বৈষম্যহীন সোনার বাংলা ও শিক্ষাবান্ধব সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের ছুটির বৈষম্য দূর করার প্রত্যাশা রইলো।