সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। ৩১ অক্টোবর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার এই ফল প্রকাশের পর একে ত্রুটিপূর্ণ বলে দাবি করেন প্রার্থীর একটি অংশ। তাদের অভিযোগ , চারটি সেটের পরীক্ষা হলেও সবগুলোর যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। আসন বৃদ্ধি করে পুনরায় ফল প্রকাশের দাবি জানান তারা। একই সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের এক ফেসবুক গ্রুপ আজ সকাল ১০টায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি ও অনশন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের শিক্ষক নিয়োগের প্রকাশিত ফলাফলে ছয় হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এতে মোট চারটি সেটের মধ্যে সবগুলো সমানভাবে মূল্যায়ন না করার দাবি উঠেছে। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, পদ্মা সেটের মাত্র ১ শতাংশ ফলাফল পেয়েছে প্রার্থীরা। এছাড়া বুয়েট আগেও ত্রুটিপূর্ণ ফলাফল প্রকাশ করেছে। তাদের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমন ফল এসেছে।
কাউসার ইসলাম বাবু নামের এক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ‘নোয়াখালীর মেঘনা সেটে কারও রেজাল্ট আসেনি। এর আগে প্রিলির সময়ও এমন হয়েছে। রেজাল্ট পুনরায় মূল্যায়ন করার পর তা এসেছিল। ঠিক একই সমস্যা এখনেও হয়েছে। তাই রেজাল্ট পুনর্মূল্যায়ন করা হোক।’ এ ছাড়া ঢাকা বিভাগের মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ জেলার একাধিক প্রার্থীও তাদের মেঘনা, সুরমা, যমুনা, পদ্মা সেট নিয়েও অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে মো. শফিকুল ইসলাম শফিক নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, রেজাল্ট পুনরায় চেক করে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের মতো আনুপাতিক হারে প্রকাশ করতে হবে।
জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে এবার তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের লিখিত, মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। তবে তৃতীয় ধাপের লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষা হলেও দীর্ঘদিনে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়নি। চার মাসের বেশি সময় অপেক্ষা করছেন তৃতীয় ধাপের ফলপ্রত্যাশীরা। এর আগে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুযায়ী, প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের মতো দ্রুত সরকারি প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩-এর তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের জন্য তারা তিন মন্ত্রণালয়ে আবেদনও করেছিলেন।