অবশেষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সৃষ্টি হচ্ছে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ। আপাতত সাড়ে ৯ হাজার বিদ্যালয়ে পদ সৃষ্টিতে অনুমোদন দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এখন অর্থ মন্ত্রণালয় ও সচিব কমিটির অনুমোদন শেষে তা যাবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। সেখানে অনুমোদনের পর শুরু হবে নিয়োগ প্রক্রিয়া। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র দৈনিক আমাদের বার্তাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য একজন করে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টির প্রস্তাব দেয়। তবে সে প্রস্তাবে সায় দেয়নি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তারা শুধু যেসব বিদ্যালয়ে আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে—এমন বিদ্যালয়ের জন্য ৯ হাজার ৫৭২টি পদ অনুমোদন দিয়েছে। ১৬ অক্টোবর পদ সৃষ্টির নথি অনুমোদন হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) মাসুদ আকতার খান বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে ৯ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ অনুমোদন দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এখন অর্থ মন্ত্রণালয়, সচিব কমিটি ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অনুমোদন শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সরাসরি নাকি পদোন্নতির মাধ্যমে এসব পদ পূরণ করা হবে, এ বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলেও জানান মাসুদ আকতার। তিনি বলেন, পদ সৃষ্টির চূড়ান্ত অনুমোদন শেষে বিধি তৈরি করা হবে। তখনই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। কবে নাগাদ নতুন পদ সৃষ্টির সব কাজ শেষ হবে—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ বলা সম্ভব নয়।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২৩-এর তথ্য বলছে, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৫টি। এগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৭১ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৫ জন। শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৬২ হাজার ৭০৯ জন।
জাতীয় শিক্ষানীতিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন করে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টির কথা বলা হয়।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টির আগে সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি শাহিনূর আল আমীন। তিনি দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, এখনই পদ সৃষ্টি করলে সহকারী শিক্ষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। আগে সহকারীদের দশম গ্রেড দিয়ে তারপর সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টি হলে বর্তমানে যাঁরা সহকারী শিক্ষক হিসেবে আছেন, তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।