সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে অভিযোগ তুলে ছুটির তালিকা সংশোধনের দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদ। পরিষদের নেতারা বলছেন, হাইস্কুলে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে ৭৬দিন ছুটি রাখা হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি ৫৪দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। রমজান ছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আর ১৫ দিনের ছুটি না থাকায় শিক্ষকদের শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পেতে ভোগান্তি হবে বলে আশঙ্কা করছেন পরিষদের নেতারা। তাই ছুটির তালিকা সংশোধনের দাবি জানানো হয়েছে পরিষদের পক্ষ থেকে। সোমবার পরিষদের পক্ষ থেকে এ দাবি জানিয়ে বিবৃতি দৈনিক শিক্ষাডটকমে পাঠানো হয়েছে।
সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানসহ অন্যান্য নেতাদের স্বাক্ষর করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়, প্রাথমিকের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা হাইস্কুল-কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের পরিবেশে অবস্থান করছেন। একই অভিভাবকের সন্তান বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করে থাকেন। বিধায় প্রাথমিকের ছুটির তালিকায় বৈষম্য ও সমন্বয়হীনতার কারণে অভিভাবকদের বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হয়ে থাকে। অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে ওই সময় প্রাথমিকে উপস্থিতির সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। সারাদেশের আনাচে-কানাচে কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয় ও সরকারি বেসরকারি হাইস্কুলে প্রাথমিক শাখায় ঢাক-ঢোল পিটিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করার কারণে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিকে শিক্ষার্থী সংকট। অভিভাবকেরাও মনোরম পরিবেশ ও উচ্চ শিক্ষিত প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকের পাঠদান থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষা আরও অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।
তাই বিবৃতিতে নেতারা সব শিশুর জন্য অভিন্ন সময়সূচি, বই, ছুটি, মূল্যায়ন ব্যবস্থা প্রত্যাশা রাখেন। ছুটির প্রাথমিকের শিক্ষার্থী, শিক্ষকের ওপর এ বৈষম্যমূলক আচরণ দুঃখজনক বলে মন্তব্য করে বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের প্রাথমিক ছুটি তালিকায় রমজান ছাড়া আর কোন পর্বে ১৫ দিন ছুটি নেই। এর ফলে প্রাথমিক শিক্ষকদের ৩ বছর পরপর শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পেতে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে।
তারা আরও বলেন, প্রধান শিক্ষকদের ৩ দিন সংরক্ষিত ছুটি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অনুমোদন নিয়ে ভোগ করার বিষয়টি মর্যাদা হানিকর। অনুমোদনের পরিবর্তে অবহিত উল্লেখ করার বা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের হাতে ৩ দিন সংরক্ষিত ছুটি রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা অন্যান্য নেতারা হলেন, গোলাম মোস্তফা (ঠাকুরগাঁও), মোশারফ হোসেন চৌধুরী, সাখাওয়াত হোসেন (কুমিল্লা), সামসুদ্দিন বাবুল (লক্ষ্মীপুর), গোলাম মোস্তফা (ময়মনসিংহ), আছমা খানম (গোপালগঞ্জ), এম এ ছিদ্দিক মিয়া, মো. রফিকুল ইসলাম (ঠাকুরগাঁও), রাজু আহম্মেদ লেলিন (গোপালগঞ্জ), মো. আব্দুল হালিম সরকার (কুমিল্লা), মো. আব্দুল হালিম (যশোর-কেশবপুর), মো. আ. কাদের (কুমিল্লা), মো. আলমগীর হোসেন হাওলাদার (বাগেরহাট), মো. হুমায়ুন কবির (বাগেরহাট), সৈয়দ সালেহ আহম্মদ (কুমিল্লা)।