২৯ ডিসেম্বর নয়, ৩০ ডিসেম্বর প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে পঞ্চম শ্রেণির ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারবেন। আগে ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত থাকলেও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভায় ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষা অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীর বৃত্তি পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
প্রথমে ২৯ ডিসেম্বর বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হলেও তা বদলানো হয়েছে। এদিন ৫টি পৌরসভা, ৬৬টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। তাই ৩০ ডিসেম্বর প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল দশটা থেকে বেলা বারোটা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা। চারটি বিষয়ে ২৫ করে মোট ১০০ নম্বরে দুই ঘণ্টার বৃত্তি পরীক্ষা নেয়া হবে। প্রতিটি বিষয় থেকে ১৫টি এমসিকিউ ও একটি রচনামূলক প্রশ্ন থাকবে।
সোমবার রাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আগামী ২৯ ডিসেম্বর পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হলেও পরে তা বদলেছে। ২৯ ডিসেম্বর কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আছে। তাই পরীক্ষার সময় বদলানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ১০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও সে সিদ্ধান্তেও পরিবর্তন এসেছে। বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন পঞ্চম শ্রেণির ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী। সেভাবেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। আমরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠিয়ে ২০ শতাংশ হিসেবে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, কেন্দ্র ও কেন্দ্রভিত্তিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পাঠাতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১০ ডিসেম্বর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভা করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ সভায় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, সভায় বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে।
যেভাবে হবে বৃত্তি পরীক্ষা :
কর্মকর্তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানিয়েছেন, মোট ১০০ নম্বরের চার বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান এ চারটি বিষয়ে ২৫ নম্বর করে মোট ১০০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি বিষয় থেকে ১৫টি এমসিকিউ ও একটি বর্ণনামূলক প্রশ্নে উত্তর দিতে হবে। বর্ণনামূলক প্রশ্নের নম্বর থাকবে ১০। আর প্রতিটি এমসিকিউতে ১ নম্বর করে থাকবে। পরীক্ষার মোট সময় হবে ২ ঘণ্টা। পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের ৫০ টাকা ফি দিতে হবে। পরীক্ষা শেষে জেলা কমিটি সব শিক্ষককে দিয়ে খাতা মূল্যায়ন করাবে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।