দৈনিকশিক্ষাডটকম, নড়াইল: সদরে মো. আরিয়ান মোল্লা (১৭) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ডান পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ছেলেটির পরিবারের দাবি, প্রেম করার অপরাধে প্রেমিকার মায়ের নির্দেশে আরিয়ানের পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে সদরের নড়াইল-গোবরা সড়কের পাশে কাড়ার বিলে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মো. আরিয়ান মোল্লা নড়াইল সদর পৌরসভাধীন মহিষখোলা গ্রামের মোহাম্মদ মোল্লার ছেলে। সে নড়াইল পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আগামী ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবাইদুর রহমান হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় বুধবার (৬ ডিসেম্বর) মামলা করা হচ্ছে।
আহত আরিয়ানকে নড়াইল সদর হাসপাতাল থেকে মঙ্গলবার রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী আরিয়ান হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে হামলার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। কেউ এ বর্ণনার কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করায় বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন অনেকেই।
ভিডিওতে আরিয়ানকে বলতে শোনা যায়, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। দুপুরের পর দাদি ডেকে বলেন, আউড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম পলাশ বাড়িতে আসছেন। কি একটা নাকি ঝামেলা হয়েছে, সেটা নিয়ে তিনি কথা বলবেন। আমি আব্বুর রুমে গিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে একটি প্রাইভেটকারে জেলা আওয়ামী
আরিয়ান আরও বলে, আমাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মাছের ঘেরের পাড়ে নিয়ে যায় তারা। আমাকে ধরে রেখে গাড়ি থেকে দা’ আনে। একজন হাত উঁচু করে ধরে রেখে বলে হাত কেটে ফেলবে। আমি অনেক অনুরোধ করেও রক্ষা পাইনি। সেখানে তুষার, রয়েল, এলান আমার হাতে পায়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে আমাকে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পরে আহত অবস্থায় ভ্যানে করে একা সদর হাসপাতালে পৌঁছাই।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, স্কুলছাত্র আরিয়ানের সঙ্গে এক শিক্ষিকার স্কুলপড়ুয়া মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ওই পরিবারের আর্থিক অবস্থা আরিয়ানের পারিবারিক অবস্থার চেয়ে ভালো থাকায় বিষয়টি তারা ভালোভাবে নেননি। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ঝামেলা চলছে। এর জের ধরে কুপিয়ে আরিয়ানের ডান পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আরিয়ানের পরিবার।
ওসি মো. ওবাইদুর রহমান বলেন, ঘটনাটি জানার পরপরই পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে অভিযানে নেমেছে। মামলার পর যথাযত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।