যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সির ২৯ বছর বয়সী ছাত্রী কাইতলাইন ক্যানন। তিনি নিজের একগাদা নগ্ন ছবি পাঠিয়েছিলেন প্রেমিকের কাছে। কিন্তু এখন তা অনলাইনে ভাসছে। এসব ছবি ফাঁস করে দিয়েছেন তার গণিতের সাবেক একজন শিক্ষক। কীভাবে ওই শিক্ষকের হাতে গেল এ ছবি, তা জানা যায়নি। এ খবর দিয়ে পশ্চিমা একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকা বলছে, ২০১৬ সালে নিজেই ১৪টি নগ্ন ছবি তুলেছিলেন তিনি। তা পাঠিয়েছিলেন প্রেমিকের কাছে। মনমাউথ কাউন্টিতে ওয়াল হাইস্কুলের পড়া শেষ করার পর সেই ছবি তিনি এখন দেখতে পাচ্ছেন অনলাইনে ভেসে বেড়াচ্ছে। এরই মধ্যে পেনসিলভ্যানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির পড়া শেষ করেছেন। একদিন একটি টেক্সট মাসেজ পান।
তাতে তার জীবন ওলটপালট হয়ে যায়।
পুরোনো একজন বন্ধু কাইতলাইন ক্যাননকে জানান, তার অন্তরঙ্গ কিছু ছবি ডাচ একটি ওয়েবসাইট অ্যানন-আইবিতে ভাসছে। এসব ছবিই তিনি নিজের প্রেমিকের কাছে পাঠিয়েছিলেন। এ নিয়ে আইনের আশ্রয় নেন তিনি। শুরু হয় অনুসন্ধান। প্রথমেই ওশিন কাউন্টির একজন জুরি গত শুক্রবার দেখতে পান- এর জন্য দায়ী কাইতলাইন ক্যাননের হাই স্কুলের গণিতের একজন শিক্ষক। তার নাম ক্রিস্টোফার ডোয়েল। তিনি কাইতলাইন ক্যাননের এসব ছবি শেয়ার করেছেন ওই ওয়েবসাইটে। এর মধ্য দিয়ে তিনি কাইতলাইন ক্যাননের ওপর পর্নোগ্রাফিক প্রতিশোধ নিতে চেয়েছেন। তবে ওই শিক্ষক কীভাবে এসব ছবি তার থাবার ভিতরে পেয়েছে, তা পরিষ্কার নয়।
কাইতলাইন ক্যানন বলেছেন, প্রথমেই এসব ছবি দেখে আমি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। দ্বিধান্বিত হই। আশা করতে থাকি, এসব যা দেখছি, তা বাস্তব নয়। কখনো ভাবতে পারিনি আমার জীবনে এমন কেউ আসবে, যে এরকম নোংরা কাজ করবে। তবে সেই ব্যক্তি হলেন আমার সাবেক একজন শিক্ষক। তার তো এমন হওয়ার কথা ছিল যে, তিনি আমাকে এভাবে দেখতে চাননি।
কাইতলাইন ক্যাননের আইনজীবী কালি মাদিয়া তদন্তে বের করেছেন যে আইপি থেকে এসব ছবি ফাঁস করা হয়েছে তার ঠিকানা। তাতে দেখা গেছে, এই আইপি ব্যবহার করেন শিক্ষক ডোয়েল। কাইতলাইন ক্যানন বলেন, যারা ওই ওয়েবসাইটে এসব ছবি দেখছেন, তারা একটি শিক্ষা নিতে পারেন। এখনও যারা স্কুলে আছে তাদের জন্য হতে পারে আমার এই বিষয়টি উদ্বেগের। শিক্ষণীয়।
ওই ওয়েবসাইটে ছবিগুলো পোস্ট করার এক সপ্তাহের মধ্যে পুরো রাজ্য থেকে ফেসবুকের নোংরা কমপক্ষে ১০টি পুরুষের বন্ধুত্বের অনুরোধ পেয়েছেন ক্যানন। তিনি বলেন, নিউজার্সিতে এ বিষয়টি আমার পুরো জীবনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। কারণ, আমি বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। নিজের শরীরটাকে এখন আর নিরাপদ মনে করছি না। মনে হচ্ছে এই শরীরটা আমার নয়।