বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
উপাচার্য বলেন, তারা আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। আমার ছেলেমেয়ের মতো। আমি তাদের সাহায্য করতে চাই। তাদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে তাদের দাবি আদায়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সময় নিতে বলেছেন।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি আন্দোলনরত দুই শিক্ষার্থীকে জানিয়েছি যেন তারা মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় থাকেন। যদি এতে সমাধান না হয় প্রয়োজনে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবো। আমি তাদের সহযোগিতা করতে চাই। যদি তারা আমার সাহায্য চান। শিক্ষার্থীরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের দাবি উপস্থাপন করুক।
প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে গেলে কোর্স আউট হওয়ার ঝুঁকির কথাও স্মরণ করিয়ে দেন উপাচার্য। বলেন, আজ একদিন তারা কর্মবিরতি দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম আছে, টানা তিনদিন কেউ কর্মবিরতি দিলে তাদের কোর্স আউট হয়ে যাওয়ার ঝুাঁকি আছে। এটা যেন তারা মাথায় রাখে। আমাদের আইনে আছে এটা।
এর আগে এদিন সকাল থেকে ৫০ হাজার টাকা ভাতা দাবিসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণার্থী পাঁচ শতাধিক চিকিৎসক। মাসিক ভাতা বৃদ্ধি, বকেয়া ভাতা পরিশোধ এবং ভাতা নিয়মিত করার দাবিতে আন্দোলনে অংশ নেন তারা।
এরপর চিকিৎসকদের দাবির বিষয়ে ৭ দিন সময় চান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলাপ করে বলেছি আর্থিক ভাতার বিষয়টি সরকারের ওপর নির্ভর করে। আগামী সাতদিনের মধ্যে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে অর্থ বরাদ্দ পেলে পোস্টগ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হবে।