পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, মানবস্বাস্থ্যের জন্য দৃশ্যমান হুমকি কমাতে প্লাস্টিকের টেকসই বিকল্প পরিবেশ বান্ধব পণ্যসামগ্রীর ব্যবহার বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এলক্ষ্যে প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক, বিভিন্ন বাজার সমিতি, পলিথিনের বিকল্প সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, পরিবেশবাদী সংগঠনসহ প্রত্যেক নাগরিককে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন এবং পরিবেশ দূষণ রোধ তথা প্লাস্টিকের ক্ষতিকর প্রভাব মুক্ত দেশ গঠনে দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তরে ‘সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ’ স্লোগানে উদযাপিত বিশ্ব পরিবেশ দিবসের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সব ধরনের প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। এলক্ষ্যে প্রণীত অ্যাকশন প্ল্যানে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকেল করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও, ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ৩০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য হ্রাস করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দে মধ্যে ৯০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ এবং ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ প্লাস্টিকের উৎপাদনে ৫০ শতাংশ ভার্জিন ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন। বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী আবু তাহের।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক ও স্লোগান প্রতিযোগিতায় বিজয়ী এবং পরিবেশ মেলায় অংশ্রগ্রহণকারী শ্রেষ্ঠ স্টলের প্রতিনিধিদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।