বিশ্বকাপের ফাইনালে আর একদিন পর আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলতে নামবে ফ্রান্স। কিন্তু তার আগেই ফ্রান্স ভক্তদের জন্য দুঃসংবাদ। কারণ, বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে পুরো ফ্রান্স দলের ফুটবলাররা সর্দি ভাইরাসে আক্রান্ত। কম করে হলেও তিনজন ফুটবলার ঠাণ্ডা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অনুশীলনেও যোগ দিতে পারেননি।
কোচ দিদিয়ের দেশম বলেছেন, ‘দুইজন খেলোয়াড়কে এরই মধ্যে আইসোলেটেড করা হয়েছে। তারা হলেন ডিফেন্ডার দায়ত উপামেচানো এবং মিডফিল্ডার অ্যাড্রিয়েন র্যাবিও। যে কারণে মরক্কোর বিপক্ষে সেমিফাইনালে ২-০ গোলে জয়ী দলের সঙ্গী হতে পারেননি এ দু’জন।’
র্যাবিওকে মরক্কোর বিপক্ষে স্কোয়াডেই রাখেননি কোচ দেশম। দায়ত উপামেচানো ওইদিন ফ্রান্স স্কোয়াডে থাকলেও বদলি হিসেবেও মাঠে নামানো হয়নি তাকে।
কোচ দিদিয়ের দেশম বলেছেন, ‘উপামেচানো তিনটি কঠিন দিন পার করার পর সুস্থ হয়ে উঠছেন। যদিও ফাইনালের আগে চারদিন সময় পেয়েছি এবং উপামেচানো ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছে। আশাকরি রোববার ফাইনালে তাকে পাওয়া যাবে।’ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, উইঙ্গার কিংসলে কোম্যানও এরই মধ্যে সর্দি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন।
যতই কিছু হোক, কোচ দিদিয়ের দেশম আশা করছেন রোববার ফাইনালে তিনি তার দলকে পুরোপুরি সুস্থই পাবেন। তিনি বলেন, ‘এখন ফ্লু সিজন চলছে। এ কারণে আমাদেরকে এখন খুব সতর্ক থাকা প্রয়োজন। খেলোয়াড়দের যেহেতু অনেক বেশি স্থান পরিবর্তন করতে হচ্ছে, সে কারণে তাদের ইমিউন সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।’
দিদিয়ের দেশম একই সঙ্গে এটাও জানাচ্ছেন, গরমের মধ্যে অনুশীলন করার পর খেলোয়াড়রা যখন এয়ারকন্ডিশন রূম ব্যবহার করছে, তখন তারা সর্দি ভাইরাসে এমনিতেই আক্রান্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিনে তাপমাত্রা অনেক কমে গেছে। এ কারণে অবশ্যই আপনাকে সতর্ক অবস্থায় চলাফেরা করতে হবে।’
বিশ্বকাপের আটটি স্টেডিয়ামের মধ্যে সাতটিই মাঠ পর্যায়ে পুরোপুরি ঠাণ্ডা এবং একই সঙ্গে খেলোয়াড়দের থাকার জায়গা এবং ট্রান্সপোর্টও পুরোপুরি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত। পুরোপুরি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ার কারণে অধিক ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হচ্ছেন ফুটবলাররা। সুইজারল্যান্ড প্রথমে এ নিয়ে অভিযোগ তুলেছে এবং বলেছে তারা গ্রুপ পর্বে অন্তত দুটি ম্যাচে সেরা একাদশ নামাতে পারেনি সর্দি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে।