বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলা নিয়ে আপাতত কোনো কর্মসূচি দিচ্ছে না তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার বিকেলে ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন তারা।
ফারদিনের মৃত্যু নিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষার্থীরা আজ এই সিদ্ধান্ত জানালেন।
ফারদিনের মৃত্যু নিয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর র্যাব ও ডিবি দাবি করে, ফারদিনকে হত্যা করা হয়নি। তিনি ডেমরার সুলতানা কামাল সেতু থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
র্যাব ও ডিবির তরফ থেকে এসব কথা জানানোর পর বৃহস্পতিবার সকালে বুয়েট শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশ ডেকেছিলেন একদল শিক্ষার্থী। পরে ডিবি কর্মকর্তাদের আহ্বানে তারা আত্মহত্যার প্রমাণের জন্য মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে যান। ডিব প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে তাদের দুই ঘণ্টা আলোচনার হয়।
শুক্রবার বিকেলে বুয়েটের ২০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল উত্তরা র্যাব সদর দপ্তরে যায়। সেখানে তারা ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন৷ পরে শিক্ষার্থীরা জানান, ফারদিনের মৃ্ত্যুর পেছনে যেসব কারণ এবং তথ্য-প্রমাণ র্যাব তদন্ত করে পেয়েছে, সেগুলো বিস্তারিত তাদের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।
বুয়েট ক্যাম্পাসে যাওয়ার কথা বলে গত ৪ নভেম্বর ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন ফারদিন। ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এক মাসের বেশি সময় তদন্তের পর গত বুধবার র্যাব ও ডিবি দাবি করে, ফারদিন ডেমরার সুলতানা কামাল সেতু থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
আত্মহত্যার কারণ হিসেবে ডিবি পারিবারিক চাপ, দুই ভাইয়ের পড়াশোনার টাকা জোগানো, ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়া ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে স্পেনে যাওয়ার টাকা সংগ্রহ করতে না পারাকে উল্লেখ করে। যদিও ফারদিনের বাবা এ দাবি মানতে নারাজ।