বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় হওয়া মামলায় তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে বুশরার আইনজীবী স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক এ আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে আমাতুল্লাহ বুশরার অব্যাহতি চেয়ে ডিবি পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার শুনানির দিন ধার্য ছিল। এ দিন মামলার বাদী ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানার আইনজীবী নারাজি দেয়ার জন্য সময়ের আবেদন করেন। পরে আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি বুশরাকে অব্যাহতির আবেদন জানিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার। পরবর্তী সময় ৮ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত বুশরার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
গত বছরের ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। এর আগে ঢাকা থেকে নিখোঁজ হন তিনি। মরদেহের ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা বলেন, ‘তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
১০ নভেম্বর ফারদিনকে খুন করা হয়েছে অভিযোগ তুলে রামপুরা থানায় মামলা করেন তার বাবা নূর উদ্দিন। সেই মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয় আমাতুল্লাহ বুশরাকে। ওই দিনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেয়া হয় বুশরাকে। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার তদন্তভার পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওপর ন্যস্ত করা হয়। এরপর মাদকসংশ্লিষ্টতা, মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে খুন, কিশোর গ্যাংয়ের সংশ্লিষ্টতার বিষয় সামনে আসে। সর্বশেষ তদন্তসংশ্লিষ্ট ডিবি ও র্যাব জানায়, স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ বা আত্মহত্যা করেছেন ফারদিন। ডিবি পুলিশ জানায়, ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনায় জেলে থাকা বুশরা নির্দোষ।