হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ শহরে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদ স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় পৌর শহরের নবীগঞ্জ জে কে সরকার হাইস্কুল মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ছাত্রলীগ নেতা ছালেক মিয়াকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে শহরে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
সূত্র জানায়, এক বছর আগে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ছাত্রলীগের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয়। গত বছরের ৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান রবিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে নাজিম উদ্দৌলা চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষিত হয়। এর পরপরই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দলীয় প্যাডে জাহিদুল ইসলাম রুবেলকে আহ্বায়ক করে আরেকটি কমিটি গঠনের তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে উভয়পক্ষের নেতাকর্মীর মধ্যে একাধিকবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এরই জের ধরে শনিবার সকালে নবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নাজিম উদ্দৌলা চৌধুরীর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একটি পক্ষ জুয়েল ম্যানশনের সামনে অবস্থান নেয়। অপরদিকে জাহিদুল ইসলাম রুবেলের নেতৃত্বে অপর পক্ষ শহরের রাজা কমপ্লেক্সের সামনে সমবেত হয়। পরে শহীদ বেদিতে ফুল দিতে গিয়ে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে জাহিদুল ইসলাম রুবেল গ্রুপের নেতা ছালেক মিয়া গুরুতর আহত হন।
জাহিদুল ইসলাম রুবেলের অভিযোগ, নাজিম উদ্দৌলার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একাংশ ছালিক মিয়ার ওপর হামলা চালায়। পরে তাদের প্রতিহত করতে গেলে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।
এদিকে নাজিম উদ্দৌলা চৌধুরী জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশনায় নবীগঞ্জ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তারা ফুল দিতে যান। এ সময় জাহিদুল তাঁর অনুসারীরা বাধা দিলে তাদের প্রতিহত করা হয়।
নবীগঞ্জ থানার ওসি মাসুক আলী জানান, পূর্ববিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। ছালেক মিয়ার ওপর হামলার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।