ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফুলপরীকে নির্যাতনের আংশিক সত্যতা পেয়েছে শাখা ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে কমিটির আহ্বায়ক শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মুন্সি কামরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ওই দিনের ঘটনায় কিছু সত্যতা পেয়েছি। ভুক্তভোগীর তথ্য অনুযায়ী তাকে যে, চড়-থাপ্পড় মারা হয়েছে এটার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সে অনুযায়ী আমরা রিপোর্ট তৈরি করেছি।’
মুন্সি কামরুল হাসান আরও বলেন, ‘উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। ফুলপরী না আসায় তার মেডিকেল রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে। আপাতত তদন্ত কার্যক্রম শেষ। রোববার রাতেই প্রতিবেদন অনলাইনে আমরা সাবমিট করেছি। আজ হার্ডকপি পাঠানো হবে।’
এর আগে তদন্ত প্রতিবেদন জমার শেষ দিনে কথা বলার জন্য রোববার ডাকা হলেও নিরাপত্তার আশঙ্কায় ক্যাম্পাসে আসেননি ভুক্তভোগী ছাত্রী ফুলপরী। তবে মোবাইল ফোনে তার সাক্ষাৎকার নেয় শাখা ছাত্রলীগের তদন্ত কমিটি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুদফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফুলপরীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুমসহ আরও সাত-আটজন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।
ঘটনা তদন্তে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া ১৫ ফেব্রুয়ারি আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করে শাখা ছাত্রলীগ।
এ ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন ও আজগর হোসেন তুহিন। তখন তাদের লিখিত আবেদন দিতে বলেন আদালত। সে অনুযায়ী তারা জনস্বার্থে রিট করেন।
১৬ ফেব্রুয়ারি রিটের শুনানি শেষে একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও একজন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তার সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এছাড়া অভিযুক্তদের ক্যাম্পাসের বাইরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই মধ্যে ১৮, ২০ ও ২২ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন কমিটির ডাকে মোট তিনবার পৃথকভাবে ক্যাম্পাসে এসে সাক্ষাৎকার দেন ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তরা। ২৬ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি।