স্থায়ীভাবেই বহিষ্কার হতে যাচ্ছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পাঁচ শিক্ষর্থী। প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে যেকোনো মুহূর্তে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিতে পারে ।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ পর্যালোচনা করে হাইকোর্ট এক নির্দেশনায় পদক্ষেপগুলো ‘যথেষ্ট ও যথাযথ নয়’ বলে মন্তব্য করে। নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘মহামান্য আদালত সুনির্দ্দিষ্টভাবে বেশ কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে দিয়ে সেই ধারানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন। উক্ত নির্দেশনা প্রতিপালিত হয়ে গেলে ঐ পাঁচ শিক্ষার্থী স্থায়ীভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার হয়ে যাবেন।’ আগামী ২৩ আগস্ট এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আদালতে সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্টের সর্বশেষ নিদের্শনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ম শেখ হাসিনা হলের গণরুমে শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে রাতভর নির্যাতন ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। তারা হলেন পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মুয়াবিয়া জাহান।
তাদের মধ্যে সানজিদা চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও অন্যরা সংগঠনটির সঙ্গে যুক্ত।
এ ঘটনার সংবাদ প্রকাশ হলে দেশজুড়ে আলোচিত হয়ে উঠে। ওই সময় ফুলপরী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলের প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।
ঘটনা তুলে ধরে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী গাজী মো. মহসিন। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট গ্রহণ করে এ বিষয়ে ওই আইনজীবীর কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চান।
এ ঘটনায় রিট হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের পাশাপাশি কিছু নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। মোট তিনটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। যার দুটি করে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ ও একটি কমিটি গঠিত হয় হাইকোর্টের নিদের্শনা অনুযায়ী।