সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় এক কলেজশিক্ষককে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) করা একটি মামলায় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করে পুলিশ। এ খবর পেয়ে ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে শিক্ষককে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে গোপালগঞ্জ থানা থেকে বের করে আনেন।
ওই শিক্ষকের নাম দেবব্রত চৌধুরী। তিনি গোলাপগঞ্জের সরকারি এমসি একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজির শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের জুনে ঢাকার বনানী থানায় একটি মামলা করে বিটিআরসি। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করে গোলাপগঞ্জ থানায় নেয় পুলিশ।
পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষককে আটকের খবর পেয়ে আজ সকালে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা গোলাপগঞ্জ থানার সামনে জড়ো হয়ে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন। বিক্ষোভের মুখে ওই শিক্ষককে কলেজের অধ্যক্ষের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষককে ফুলের মালা পরিয়ে মিছিল নিয়ে প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যান।
পুলিশ বলছে, বিটিআরসির তদন্ত কর্মকর্তাসহ যারা সিলেটে এসেছিলেন, তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আদালতে হাজির হওয়ার শর্তে তাকে ছেড়ে দিয়েছেন।
শিক্ষক দেবব্রত চৌধুরীর দাবি, মামলাটি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। বিটিআরসির করা মামলায় যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে, সেগুলো ভুল। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনের সহায়তা নেয়ার জন্য আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে তদন্ত কর্মকর্তা বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় হওয়া একটি মামলায় ওই শিক্ষককে আটক করা হয়েছিল। পরে আদালতে হাজির হওয়ার শর্তে মুচলেকা নিয়ে আরেকজনের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করছে বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ। ওই মামলার ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ থানার কাছে তেমন কোনো তথ্য নেই।