ফেরত যাওয়া উপবৃত্তির টাকা পাবেন শিক্ষার্থীরা - দৈনিকশিক্ষা

ফেরত যাওয়া উপবৃত্তির টাকা পাবেন শিক্ষার্থীরা

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

২০২২-২৩ অর্থবছরে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির যেসব শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা ফেরত গেছে সে টাকা তারা ফিরে পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। সফটওয়্যারে এন্ট্রি করা তথ্যে ভুল থাকায় ওই টাকা ফেরত যায় বা বাউন্সড ব্যাক হয়। বিষয়টি শুধরে নিতে তথ্য সংশোধন শুরু হয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বরের মধ্যে এসব শিক্ষার্থীর তথ্য এইচএসপি-এমআইএস সফটওয়্যারে সংশোধন করতে হবে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। 

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে বিষয়টি জানিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। এতে তথ্য সংশোধনের বিস্তারিত প্রক্রিয়া উল্লেখ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আদেশটি প্রকাশ করা হয়।

জানা গেছে, তথ্য এন্ট্রি হলেও অ্যাকাউন্ট খোলা না থাকা, অ্যাকাউন্ট নম্বর সচল না থাকা, অ্যাকাউন্ট নম্বর ভুল এন্ট্রি করা, ব্যবসায়িক বা মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যবহার করা, প্রতারণামূলক কাজে জড়িত থাকা অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যবহার করা, বন্ধ বা অচল অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যবহার করা, এনআইডি বা কেওয়াইসি পেপার সঠিক না থাকা, গ্রাহকের পিন সেট না করা ও এজেন্ট ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের নম্বর এন্ট্রির ক্ষেত্রে ওই ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা নির্বাচন না করায় উপবৃত্তির টাকা ফেরত গেছে। তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো বিবেচনা করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বলেছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। 

তথ্য সংশোধন যেভাবে :
শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টের তথ্য সংশোধনে এইচএসপি-এমআইএস সফটওয়্যারে প্রবেশ করে মেন্যুবার অনুসরণ করে ‘পে-রোল’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর ‘পেমেন্ট তথ্য সংশোধন’ অংশে ক্লিক করতে হবে। ‘অ্যাকাউন্টের ধরন’ অপশনে ক্লিক করে ‘বাউন্স ব্যাক হয়েছে’  অপশন সিলেক্ট করে ‘খুঁজুন’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এবার সংশোধন কলামের ‘কলম আইকন বা এডিট অপশনে’ ক্লিক করতে হবে। 

এরপর বর্তমান পেমেন্টে তথ্যে পেমেন্টের ধরন ও হিসাব নম্বর পরিবর্তন করে সঠিক তথ্য দিতে হবে। এইচএসপি-এমআইএস সফটওয়্যারে অভিভাবকের তথ্য পরিবর্তন করা যাবে না। এন্ট্রিকৃত অভিভাবকদের এনআইডি ব্যবহার করে খোলা বৈধ ও সচল মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট নম্বর এন্ট্রি করতে হবে। তথ্য পরিবর্তনের কারণ অপশনে ‘বাউন্স ব্যাক তথ্য সংশোধন’ নির্বাচন করতে হবে। বাউন্স ব্যাক তথ্য সংশোধন অপশনে ‘হ্যা’ নির্বাচন করতে হবে। সর্বশেষ ‘সংশোধন করুন’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। একই অ্যাকাউন্ট নম্বর একাধিক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য ব্যবহার করা যাবে না। 

এসব নির্দেশনা মেনে আগামী ১৬ নভেম্বরের মধ্যে উপবৃত্তির টাকা ফেরত যাওয়া শিক্ষার্থীদের হিসাব নম্বরের ভুল তথ্য এইচএসপি-এমআইএস সফটওয়্যারে সংশোধন করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য সংশোধনে ব্যর্থ হলে যেকোনো সমস্যার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন। 

অভিভাবকদের তথ্য সংশোধন যেভাবে :
উপবৃত্তির সুবিধাভোগী কোনো শিক্ষার্থীর এইচএসপি-এমআইএস সফটওয়্যারে ইতোপূর্বে এন্ট্রিকৃত অভিভাবকের তথ্য পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে যাবতীয় তথ্যসহ (শিক্ষার্থীর নাম, জন্ম নিবন্ধন নম্বর, শ্রেণি এবং নতুন অভিভাবকের নাম ও সম্পর্ক, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, অভিভাবকের এনআইডি ব্যবহার করে খোলা বৈধ ও সচল মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট নম্বর-অনলাইন ব্যাংক এ কাউন্ট নম্বর হলে ব্যাংক ও শাখার নামসহ) ইমেইলে ([email protected]) আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন পাঠাতে হবে।

আদেশটি সব উপজেলা-থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। শিক্ষা কর্মকর্তাদের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে তথ্য সংশোধনের বিষয়টি দ্রুত জানাতে ও সংশোধন কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটরিং করতে বলা হয়েছে।

 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
 

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

তিন কলেজ শিক্ষার্থীদের সং*ঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রবাড়ি - dainik shiksha তিন কলেজ শিক্ষার্থীদের সং*ঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রবাড়ি রিকশার ধাক্কায় জাবি ছাত্রীর মৃত্যু, ৩ জনকে পুলিশে সোপর্দ - dainik shiksha রিকশার ধাক্কায় জাবি ছাত্রীর মৃত্যু, ৩ জনকে পুলিশে সোপর্দ নৈরাজ্যকারীদের প্রতিহত করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান কাজ: সারজিস - dainik shiksha নৈরাজ্যকারীদের প্রতিহত করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান কাজ: সারজিস মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! - dainik shiksha মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! সাত কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha সাত কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা স্থগিত কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত করতে হবে: নুর - dainik shiksha অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত করতে হবে: নুর কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0039010047912598