২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় যারা ভালো করেছে তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তিনি যারা ফেল করেছে তাদের গালমন্দ না করে সহানুভূতি দেখানোর অনুরোধ করেছেন তিনি।
রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় গণভবনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, ও বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ আরও অনেকে এসময় উপস্থিত ছিলেন।
যারা পাশ করেছে তাদের অভিনন্দন জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যারা হয়তো ভালো রেজাল্ট করতে পারেনি, তাদেরও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। অভিভাবকদের বলবো, যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি, তাদের সহানুভূতি দেখাতে হবে। সে যে পারে নাই, সেটার কারণ বের করে তাকে আরও মনোযোগী হতে উৎসাহী করতে হবে। তাকে ধমক বা গালমন্দ করা ঠিক হবে না। এটা আমাদের বিনীত অনুরোধ থাকবে, কাউকে ধমক বা গালমন্দ করবেন না। এগুলো কোমলমতি এই ছেলেমেয়েগুলো নিতে পারে না। পরে তারা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। সমস্যা চিহ্নিত করে সেটি সমাধানে সহযোগিতা করলে ভবিষ্যতে তারা ভালো করতে পারবে।
আরো পড়ুন : শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ে ফলাফল প্রকাশ পাওয়ায় আন্তরিক ধন্যবাদ। জ্বালাও পোড়াও এর মধ্যে যে আপনারা যথা সময়ে কাজটি করতে পেরেছেন এটি বড় ব্যাপার। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সবার প্রচেষ্টায় আমরা এটি করতে পেরেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গবেষণার ওপর সবেচেয়ে গুরুত্ব দিতে চাই। বিজ্ঞান শিক্ষায়ও আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। ১২টি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। কারিগরি শিক্ষায়ও যাতে ছেলেমেয়েরা এগিয়ে আসে, সেদিকে আমরা নজর দিচ্ছি।
আরো পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকমে ভর্তি বিজ্ঞাপন দিন ৩০ শতাংশ ছাড়ে
তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় ফলাফলে বেশ কিছু ইতিবাচক লক্ষণ আছে। এটা আমাদের ইতিবাচক উদ্যোগের ফলেই হয়েছে বলে মনে করি। শিক্ষার প্রচারে সংসদ টেলিভিশনকে আরও ভালো ভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন ঠেকানোর নামে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ৫০০ স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দেও তারা এমন অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিল। কিন্তু পারেনি। পরে করোনা এসে আমাদের সবাইকে ভীতসন্ত্রস্ত করে দিল। নানাভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কিন্তু ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় শিক্ষার গতি অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। সে সময় সমস্ত বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে, তখনও ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল দেওয়ার রীতিটা ঠিক রাখা হয়েছে।
আরো পড়ুন : দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে
ফলাফল হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সাড়ে ১৩ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীর অপেক্ষার পালা শেষ হলো। বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটের পাশপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ফলাফলের পূর্ণাঙ্গ শিট পাবে।
এ নিয়ে বেলা ১১টায় সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনিস্টিটিটে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।