যুক্তরাষ্ট্রের হিউবার্ট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ অলাভজনক বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) পেশাজীবীদের জন্য এক বছরমেয়াদি এই ফেলোশিপ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত পেশাজীবীরা ফেলোশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
ফেলোশিপের লক্ষ্য
তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ করে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রতিবছর এই ফেলোশিপ দিয়ে থাকে। এ ছাড়া ফুলব্রাইট প্রোগ্রামটি এক বছরের জন্য মিড-ক্যারিয়ার পেশাজীবীদের নন-ডিগ্রি স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়ন, নেতৃত্বের বিকাশ এবং পেশাদার সহযোগিতার সুযোগ করে দেয়।
দেশটির প্রয়াত সিনেটর ও উপরাষ্ট্রপতি হিউবার্ট এইচ হামফ্রের স্মৃতি ও অর্জনকে সম্মান জানাতে ১৯৭৮ সাল থেকে এ প্রোগ্রামটির আয়োজন করা হয়। ইতিমধ্যে প্রায় ১০০ বাংলাদেশি এই ফেলোশিপে অংশগ্রহণ করেছেন। এই ফেলোশিপের জন্য জনসেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারি কিংবা বেসরকারি খাতে কর্মরত পেশাজীবী প্রার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতিতে বাছাই করা হয়।
ফেলোশিপের জন্য নির্ধারিত বিষয়: এর মধ্যে রয়েছে–
মানবসম্পদ ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা
অর্থনৈতিক উন্নয়ন
জননীতি বিশ্লেষণ ও জনপ্রশাসন
মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা
অধিকার ও স্বাধীনতা:
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা
আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা
আইন ও মানবাধিকার
মানব পাচার নীতি ও প্রতিরোধ
টেকসই ভূমি
কৃষি ও পল্লি উন্নয়ন
প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশগত নীতি ও জলবায়ু পরিবর্তন
নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা
সমৃদ্ধিশালী সম্প্রদায়
ছোঁয়াচে ও সংক্রামক রোগ
জনস্বাস্থ্য নীতি ও ব্যবস্থাপনা
এইচআইভি/ এইডস, নীতি ও প্রতিরোধ
মাদকের অপব্যবহারবিষয়ক শিক্ষা, চিকিৎসা ও প্রতিরোধ
শিক্ষা প্রশাসন, পরিকল্পনা ও নীতি
উচ্চশিক্ষা প্রশাসন
বিদেশি ভাষা হিসেবে ইংরেজি শেখানো
আবেদনের যোগ্যতা
হিউবার্ট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপের জন্য আবেদন করতে হলে একজন প্রার্থীকে অবশ্যই নিম্নলিখিত মানদণ্ডগুলো পূরণ করতে হবে:
বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে। আবেদন করা ও আবেদনপত্র বাছাই-প্রক্রিয়া চলাকালে বাংলাদেশে অবস্থান করতে হবে।
দ্বৈত নাগরিক (বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র) কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া যাবে না।
আবেদনকারীকে অবশ্যই তরুণ ও মধ্যপর্যায়ের নেতৃত্বশীল পদে থাকা পেশাজীবী হতে হবে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন এমন কেউ হতে পারবেন না।
পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে চার বছরের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করার সনদ থাকতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জনের পর সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ বছরের পূর্ণকালীন কাজ করার পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। সফল প্রার্থীদের মেডিকেল পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করা হবে।
ফেলোশিপ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশে ফিরে আসতে হবে।
আবেদনের প্রক্রিয়া: প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। বিস্তারিত জানতে এই বিজ্ঞপ্তি দেখুন।