রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডার, জুসার, মিক্সার, গ্রাইন্ডার, ইলেক্ট্রিক কেটলি, রাইস কুকার, মাল্টি কুকার এবং প্রেসার কুকারের মূল্য সংযোজন করে (মূসক) অব্যাহতি সুবিধা প্রদান ও বহাল রাখার সুপারিশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ কারণে এসব পণ্যের দাম সহসাই বাড়ছে না।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ প্রস্তাব করা হয়। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদন এবং দেশীয় শিল্প বিকাশের চলমান গতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে অর্থমন্ত্রী এ প্রস্তাব করেন।
‘উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড়দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ৫ শতাংশের অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন কর এবং তা উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণ ও খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি ও স্থানীয়ভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান মূসক (আগাম করসহ) ও সম্পূরক শুল্ক (প্রযোজ্যক্ষেত্রে) অব্যাহতি সুবিধা ৩০ জুন, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বর্ধিতকরণের প্রস্তাব করছি।
মুস্তফা কামাল বলেন, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ইলেক্ট্রিক ওভেন এর উৎপাদন পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর এবং উক্ত পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রাংশ আমদানি ও স্থানীয়ভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে সমূদয় মূল্য সংযোজন কর (আগাম করসহ) ও সম্পূরক শুল্ক (যদি থাকে) অব্যাহতি সুবিধা ৩০ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বর্ধিতকরণের প্রস্তাব করছি।
তিনি আরও বলেন, ব্লেন্ডার, জুসার, মিক্সার, গ্রাইন্ডার, ইলেক্ট্রিক কেটলি, রাইস কুকার, মাল্টি কুকার এবং প্রেসার কুকার এর উৎপাদন পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর এবং উক্ত পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণ ও যন্ত্রাংশ আমদানি ও স্থানীয়ভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে আরোপনীয় সমূদয় মূল্য সংযোজন কর (আগামকর সহ) ও সম্পূরক শুল্ক (যদি থাকে) অব্যাহতি সুবিধা ৩০ জুন, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বর্ধিতকরণের প্রস্তাব করছি।
এর আগে আজ বিকেল ৩টায় একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম (বাজেট) অধিবেশন শুরু হয়। এরপর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমোদনক্রমে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন।