বগুড়ায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও এমডি সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ এবং ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহার আদালতে এ মামলার আবেদন করেন শিবগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউল আলিম। পরে বিচারক আবেদনটি আমলে নিয়ে শিবগঞ্জ থানার ওসিকে মামলা হিসেবে রেকর্ড করার আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল ওহাব জানান, ওই মামলায় আহমেদ আকবর সোবহান ও সায়েম সোবহান ছাড়াও আটজনকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন—২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও বিডিআর বিদ্রোহ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং সিআইডির সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি আবদুল কাহার আকন্দ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম, ডিএমপির সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, অতিরিক্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান ও একাত্তর টিভির সাবেক বার্তা সম্পাদক শাকিল আহমেদ।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন সাবেক সাবরেজিস্ট্রার শাহ আলম ও তার স্ত্রী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও স্থানীয় বিএনপির সাবেক নেত্রী বিউটি বেগম, শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুৎফর রহমান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ বিপুল, রাজধানীর পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জিন্নাত আলী মাতব্বরসহ অন্যরা।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর ৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের নাগরবন্দরে ছাত্র-জনতার মিছিল বের হয়। এ সময় হুকুমদাতা ওই আট আসামির নির্দেশে সাবেক সাবরেজিস্ট্রার শাহ আলম ও তার স্ত্রী বিউটি বেগমের নেতৃত্বে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেন। এ সময় তারা ককটেল হামলার পাশাপাশি গুলিবর্ষণ করেন। একপর্যায়ে শাহ নেওয়াজ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করলে মুসফিকুর রহমান গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় আরো অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। পাশাপাশি অন্য আসামিরাও হামলায় অংশ নেন।