বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি ও ওয়াদানি ফাউন্ডেশনের মধ্যে স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে এ সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার এবং ওয়াদানি ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার এস্তানুল কবির এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো.আনোয়ার হোসেন, ওয়াদানি ফাউন্ডেশনের এসোসিয়েট প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাগর খালাসি, সিনিয়র এসোসিয়েট জব প্লেসমেন্ট শাহরিয়ার ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সমন্বয় করেন বিশ্ববিদ্যালয় সফট স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেল।
এর আগে আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, চতুর্থ এবং পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের এই যুগে স্কিল ডেভেলপের বিকল্প নেই। সেই বিষয়টি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি,শুরু থেকেই উপলব্ধি করতে পেরেছে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগের অংশ হিসেবে ওয়াদানি ফাউন্ডেশনের মধ্যে আজকের এই স্কিল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর।
উপাচার্য আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি ইন্ডাস্ট্রিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি উপযোগী করে গ্রাজুয়েট তৈরি করতে আগ্রহী। ওয়াদানি ফাউন্ডেশনসহ যেসব ইন্ডাস্ট্রি এবং প্রতিষ্ঠান এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে এগিয়ে এসেছেন তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার বলেন, ওয়াদানি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আমরা একটি সময় উপযোগী বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি। এই সমঝোতা স্মারকের আলোকে আমরা যে কোর্সটি শুরু করেছি তার একটি রিপোর্ট, কোর্স শেষে আমরাদের শিক্ষার্থীরা এই কোর্স থেকে কতটুকু শিখলো তার একটি রিপোর্ট এবং আমাদের শিক্ষার্থীরা যখন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করবে তার একটি রিপোর্ট আমাদের প্রস্তুত করতে হবে। এই তিনটি রিপোর্ট পর্যালোচনা করে আমরা বুঝতে পারবো আমরা কোন অবস্থায় আছি।
ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে নতুন নতুন দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। এসব দক্ষতা অর্জন কোর্সের মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি সমৃদ্ধ হবেন বলে আমার বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ওয়াদানি ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার এস্তানুল কবির।