বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি ও ডেটাসফট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড এসেম্বলি ইংক. লিমিটেডের মধ্যে ডেভেলপমেন্ট, কোলাবোরেশন, স্টুডেন্ট ফেলোশিপ, অ্যাসিস্টেন্টশিপ, ইন্টার্নশিপ, প্লেসমেন্ট এবং নলেজ শেয়ারিং বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ )স্বাক্ষর করেছে।
বুধবার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সভা কক্ষে এই সমঝোতা স্মারক (এমওইউ )স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার এবং ডেটাসফট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড এসেম্বলি ইংক. লিমিটেডের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ডেটাসফট ম্যানুফ্যাকচারিং এন্ড এসেম্বলি ইংক. লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান রহমান রতন।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর পূর্ব আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সমন্বয় রেখে এই বিশ্ববিদ্যা্লয়ে আমরা স্মার্ট কারিকুলাম প্রণয়ন করেছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা ইন্ডাস্ট্রি ওরিয়েন্টেড শিক্ষার দিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য ইন্ডাস্ট্রি উপযোগী করে গ্রাজুয়েট তৈরি করা। সরাসরি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পারবে এবং ইন্ডাস্ট্রিকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে এমন গ্রাজুয়েট যদি আমরা তৈরি করতে পারি তাহলে আমরা ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে সত্যিকারের স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হতে পারবো।
উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটিতে আমরা আইওটি ও রোবটিক্সের ওপর ব্যাচেলর ডিগ্রি দিচ্ছি। সাইবার সিকিউরিটি, গেম ডেভেলপমেন্ট, মেশিন ইন্টেলিজেন্স, ডাটা সায়েন্সের মতো বিষয়গুলোর ওপর শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে এক হয়ে কাজ করতে আগ্রহী। ইন্ডাস্ট্রিগুলোর কোন কোন যোগ্যতার গ্রাজুয়েট প্রয়োজন তা আমাদের জানতে পারেন। আমরা সেই যোগ্যতা সম্পন্ন গ্রাজুয়েট ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে উপহার দিতে চাই। ইতোমধ্যে আমাদেরে কারিকুলামসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে যুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার বলেন, উচ্চশিক্ষার তিনটি স্তম্ভ একটি হচ্ছে একাডেমিয়া দ্বিতীয়টি হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রি তৃতীয়টি হচ্ছে গবেষণা যা ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিয়ার মধ্যে সমন্বয় সাধন করে। এই তিনটিকে যদি আমরা যুক্ত করতে না পারলে বিশ্ববিদ্যালয় সাস্টেইন করতে পারে না। আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিয়ার মধ্যে সমন্বয়ের কাজটি শুরু করেছি। এখন আমরা যদি ভালো মানের গ্রাজুয়েট তৈরি করতে পারি এবং ইন্ডাস্ট্রি যদি তাদের গ্রহণ করে এবং ইন্ডাস্ট্রির সমস্যাগুলো যদি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে সেই পরিপ্রেক্ষিতে যদি আমরা কিছু করতে পারি সেটাই হলো আমাদের মূল জার্নি, সেই মূল জার্নিটা আজকে শুরু হলো।
ডেটাসফট ম্যানুফ্যাকচারিং এন্ড এসেম্বলি ইংক. লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান রহমান রতন বলেন, আমরা এখন এআই এবং জিপিটির যুগে প্রবেশ করেছি। এসব প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস।
সমঝোতা স্মারক (এমওইউ ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড.মো. আনোয়ার হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।