বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে ডাক্তারদের মধ্যে ক্ষোভ - দৈনিকশিক্ষা

বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে ডাক্তারদের মধ্যে ক্ষোভ

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে ডাক্তারদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। 

অবসরে যাওয়ার পর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়াকে আইনবহির্ভূত হিসেবে আখ্যায়িত করে চিকিৎসকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই চুক্তি বাতিল করা না হলে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে। উপাচার্য একক ক্ষমতাবলে তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছেন। যারা পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য তাদের পদোন্নতি না দিয়ে ড্যাবের একজন সাবেক নেতাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ায় অধিকাংশ চিকিৎসকদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বেড়ে গেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা, শিক্ষা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের একজন চিকিৎসক অবসরে যাওয়ার পর তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেন উপাচার্য। একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগে একজন চিকিৎসককেও একইভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি সরকারি চাকরি থেকে অবসরে ছিলেন। 

ডাক্তাররা বলেন, যাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদের চেয়ে অনেক যোগ্য ডাক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তাদের পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে না। যাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই, তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া বেআইনি বলে চিকিৎসকদের দাবি। এদিকে মেডিসিন বিভাগের মধ্যে দুটি ভাগ রয়েছে। একটি মেডিসিন ও রেসপিরেটরি মেডিসিন। এই দুই বিভাগের মধ্যে দ্বন্দ্বে সম্প্রতি মেডিসিন বিভাগের একটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যিনি তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন, তিনি একজন প্রোভিসি বলে চিকিৎসকরা জানান।

সব মিলিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে একের পর এক অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা বেরিয়ে আসছে। এই প্রসঙ্গে সিনিয়র চিকিৎসকরা আক্ষেপ করে বলেন, মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব কি হচ্ছে? যেন দেখার কেউ নেই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, কেউ যদি অবসরে যাওয়ার পরও পিআরএল না নেয়, তাহলে তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যায়। এটা আইনেই আছে।

আইন অনুযায়ী অতীতেও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হয়েছে, আমিও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়েছি। মেডিসিন বিভাগের কক্ষে তালা ঝুলানোর বিষয়ে উপাচার্য বলেন, যেহেতু কক্ষটি নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে—এটাকে দুই ভাগ করে মেডিসিন ও রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

এমপিওভুক্তির নতুন আদেশ জারি - dainik shiksha এমপিওভুক্তির নতুন আদেশ জারি জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর - dainik shiksha জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু ১ ডিসেম্বর শিক্ষা প্রশাসনে বড় বদলি - dainik shiksha শিক্ষা প্রশাসনে বড় বদলি কুবির বঙ্গবন্ধু হল ও শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন - dainik shiksha কুবির বঙ্গবন্ধু হল ও শেখ হাসিনা হলের নাম পরিবর্তন ডিআইএ পরিচালক কাজী কাইয়ুম শিশিরকে বদলি - dainik shiksha ডিআইএ পরিচালক কাজী কাইয়ুম শিশিরকে বদলি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনে শহীদদের স্মরণসভা - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনে শহীদদের স্মরণসভা সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ - dainik shiksha সরকারি কলেজ প্রদর্শকদের পদোন্নতির খসড়া প্রকাশ এমপিওভুক্ত হচ্ছেন আরো ১১ হাজার শিক্ষক - dainik shiksha এমপিওভুক্ত হচ্ছেন আরো ১১ হাজার শিক্ষক পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন - dainik shiksha পঞ্চমে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা, বার্ষিকে ৪ স্তরে মূল্যায়ন কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0042309761047363