রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটে লাগা আগুনের ঘটনায় সার্বক্ষণিক খোঁজখবরের পাশাপাশি সমন্বয়ও করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না ভয়াবহ এ আগুন। আশপাশের চারটি ভবনেও ছড়িয়ে পড়েছে তা। নতুন করে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে মহানগর শপিং কমপ্লেক্সে। ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে চারদিক।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট কাজ করছে। বঙ্গবাজারের টিনশেড দোতলা মার্কেট পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে এখনো দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা। ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। হাতিরঝিল থেকেও পানি আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা।
এরই মধ্যে আগুন নেভাতে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে ওপর থেকে পানি ছিটানো হচ্ছে। এ পানি নেয়া হচ্ছে হাতিরঝিল থেকে। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ থেকে যোগ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের বেশ কয়েকটি ইউনিট। এখন পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ৫০টি ইউনিট। তবুও সম্ভব হচ্ছে না নিয়ন্ত্রণে আনা।
তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা সাধ্যমতো আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। এ জন্য আশপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) হলের পুকুর থেকে পানি নিচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। তাতেও সংকট না কাটায় হেলিকপ্টারে করে হাতিরঝিল থেকে পানি আনা হচ্ছে।
অতিরিক্ত মানুষ সেখানে যাওয়ার কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের।
বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে গিয়ে বেশ কয়েকজন দমকলকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রথমে তারা বঙ্গবাজারের আগুন নেভাতে গিয়ে সাততলা এনেক্স মার্কেট ভবনে ঢোকেন। পরে সেখানেও আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় তারা আটকা পড়েন। খবর পেয়ে তাদের আহতাবস্থায় সেখান থেকে বের করে আনা হয় বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। তাদের ঢাকা মেডিকেল এবং শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।