বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও নিম্নচাপের পর গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে সমুদ্রবন্দরগুলোতে জারি করা ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-২) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তথ্য জানিয়েছেন।
গভীর নিম্নচাপটি আরও শক্তিশালী হলে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘ম্যানদৌস’। এটি আরব আমিরাতের দেওয়া নাম। তবে এ ঘূর্ণিঝড়ের কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ আকারে দক্ষিণ-পূর্ব ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় অবস্থান করছে। এটি বুধবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
এতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতেও বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এরপর বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল নাগাদ এটি ভারতের উত্তর তামিলনাড়ু-পুন্ডুচেরি ও কাছাকাছি অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।