দেশের বন্যা পরিস্থিতিতে আক্রান্ত মানুষদের সহায়তায় একদিনের বেতন প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ সব সময়ই মানবিক রাষ্ট্র। চলমান বন্যা দুর্গত এলাকায় ছাত্র-জনতার ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার অভিযান ইতোমধ্যেই সেটি প্রমাণ করেছে।
উপাচার্য বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বসে থাকার সময় নেই। দল-মত-নির্বিশেষে সবাইকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ, কারো একার পক্ষে এই দুর্যোগ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমেদ বলেন, সভায় সম্মিলিতভাবে একদিনের মূল বেতনের অর্থ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে; যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বন্যা দুর্গত এলাকায় গিয়ে বিতরণ করবে।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান বলেন, মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াবে— যেকোনো ধর্মেই এটি উত্তম কাজগুলোর একটি। তাই প্রক্যেকের উচিত, নিজ নিজ জায়গা থেকে পরিস্থিতির শিকার হাজার হাজার মানুষের মানুষে দাঁড়ানো।
সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, শুধু গ্রিন ইউনিভার্সিটি নয়, সকল সচেতন নাগরিকের উচিত- বন্যার্তদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি গোটা জাতিকে বন্যার্তদের সাহায্যে কার্যকরভাবে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান সভা সংশ্লিষ্ট সবাই।
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত বন্যাকালীন সময়, রোহিঙ্গা ইস্যু ও পাহাড় ধ্বসসহ নানা ক্রান্তিকালীন সময়ে দুর্গত এলাকার পাশে দাঁড়িয়েছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি পরিবার।
প্রসঙ্গত, টানা ভারী বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। বন্যার পানিতে লাখ লাখ মানুষের বাড়িঘর-ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। সেসব এলাকায় তৈরি হয়েছে মানবিক বিপর্যয়।