প্রায় তিন সপ্তাহ উপাচার্য (ভিসি) নেই। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রতিষ্ঠানটির একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম নড়বড়ে হয়ে পড়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি)। এমন পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি করে শৃঙ্খলা কমিটি গঠনসহ একাধিক শাখায় দায়িত্ব বণ্টন করে সমালোচনার মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশেষ করে প্রক্টরিয়াল বডি থেকে সম্প্রতি পদত্যাগ করা একাধিক সদস্যকে শৃঙ্খলা কমিটিতে সদস্য করা এবং নারী সদস্য না রাখায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা।
ছাত্র-শিক্ষকেরা প্রশ্ন তুলেছেন, ভিসি না থাকায় প্রশাসনিক ও আর্থিক বিষয় পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক মহসীন উদ্দিন এভাবে একাধিক দপ্তরে দায়িত্ব দিতে পারেন কি না।
২ সেপ্টেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিনদের নিয়ে এক জরুরি সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পাওয়া মহসীন উদ্দিন। সভায় শৃঙ্খলা কমিটি, পরিবহন পুল ম্যানেজার, চারটি হলের প্রশাসনিক দায়িত্ব ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এ ঘটনা নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনলাইনে ও অফলাইনে সমালোচনা চলছে। শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপ লিংকার্স ইন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা হচ্ছে নানা কথা। মো. আসাদুজ্জামান সাব্বির লেখেন, ‘প্রক্টরিয়াল বডি এবং শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির মধ্যে পার্থক্য কী?’ মো. আল আমিন হোসাইন লেখেন, ‘প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগকারী শিক্ষক কী করে শৃঙ্খলা কমিটিতে আসেন।’
বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় সরকার বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কারও কারও বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। হুমকি দেওয়া হয়েছে সমর্থনকারী শিক্ষকদেরও। শৃঙ্খলা কমিটিতে তাঁদের নাম আসায় শিক্ষকদের অভ্যন্তরে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে।’
অধ্যাপক মহসীন উদ্দিন বলেন, ‘ডিনদের সম্মতিতে শৃঙ্খলা কমিটি, বিভিন্ন হলের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। যেহেতু প্রক্টরিয়াল বডি করা যাচ্ছে না, তাই ডিনদের মতামতে শৃঙ্খলা কমিটি করা হয়। কিন্তু পরে আবার প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে ডিনদের সভায় তা বাতিল করা হয়েছে।’