হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাস মেরামতের টাকা পরিশোধ না করায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) দুটি বাস আটকে রাখেন সরকারি বিএম (ব্রজমোহন) কলেজ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে আন্ধারমানিক ও নয়নভাঙ্গানী নামের বাসগুলোকে আটকে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাস প্রাঙ্গণে রাখা হয়।
তবে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে আটক বাসগুলো মুক্ত করতে চেষ্টা করছে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ, ছাত্র সংগঠনের নেতারা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া বাস আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেনো কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেদিকে নজর রাখছে পুলিশ।
সরকারি বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে সকাল ৯টার দিকে খবর আসে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বাস আমাদের শিক্ষার্থীরা আটকে রেখেছে। মূলত আমাদের যে বাসগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভেঙেছিলো সেগুলো মেরামতের ব্যবস্থা না করায় ক্ষোভে এমনটা করেছে বলে শুনেছি৷ তবে আমরা চেষ্টা করছি শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার৷
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত দুটি বাস বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা আটকে তাদের ছাত্রাবাসে নিয়ে রেখেছে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য দুই প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা হয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সজাগ আছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, গত অক্টোবরে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। কিন্তু জুলাই - আগস্টে এই দুই প্রতিষ্ঠানের হাজার-হাজার ছাত্র-ছাত্রী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছে। তাই দ্রুত তাদের মধ্যে আবার যেনো ঐক্য ফিরে আসে সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি।
প্রসঙ্গত, গত ৪ অক্টোবর রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এতে দুই প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয় এবং ৪টি বাস ভাঙচুর করা হয়। সেসময় ভাঙচুরের শিকার বিএম কলেজের ৩টি বাস মেরামত করার প্রতিশ্রুতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।