বরগুনার আমতলীতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নয় শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) তাদের শোকজ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিউল আলম।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, কোচিং বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে ক্লাস্টারভিত্তিক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা না নিয়ে আমতলী বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকরা নিজেরা প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষা নিয়েছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শোকজের জবাব সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত শিক্ষকরা হলেন- আমতলী বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুনীল কংস বণিক, সহকারী শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার, নাসিমা, ফাতেমা, লাভলী, কুলসুম, নাজমা, জোহরা ও নার্গিস নিরু।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ২৩ আগস্ট আমতলীর ১৫৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়। ওই পরীক্ষায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ক্লাস্টারভিত্তিক প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষা নিচ্ছিল। এতে বিপাকে পড়ে কোচিং বাণিজ্যে জড়িত আমতলী বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এবং ক্লাস্টারভিত্তিক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা না নিয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা তাদের তৈরি করা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেন। মঙ্গলবার ইংরেজি পরীক্ষা চলাকালে বিষয়টি ফাঁস হয়। পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় শিক্ষককে শোকজ করেন।
এ বিষয় বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন খাঁন বলেন, ক্লাস্টারভিত্তিক প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। তবে কেন নয় শিক্ষককে শোকজ করা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।