দেখতে দেখতে একযুগ পার করেছে দক্ষিণাঞ্চলের উচ্চশিক্ষার বিদ্যাপীঠ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ২২ ফেব্রুয়ারি বরিশাল সদর উপজেলার কর্ণকাঠিতে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বুধবার দিনভর ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ক্যাম্পাসের শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা, র্যালি, আলোচনা সভা ও নবাগত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বলেন, ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে বরিশাল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বক্তৃতা দিয়েছিলেন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। তখন আমার বাবা আবদুর রব সেরনিয়াবাত তাঁর কাছে দাবি করে বলেছিলেন, আমাদের দক্ষিণাঞ্চল অবহেলিত, একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন, বাংলাদেশে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যদি হয় তা আগে দক্ষিণাঞ্চলে হবে। দুর্ভাগ্যের বিষয় তাকে তা করতে দেয়া হয়নি। তবে তা বাস্তবায়ন করেছেন বঙ্গবন্ধুর মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিজেদেরকে বিকশিত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামনে এগিয়ে যেতে আহ্বান জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় নানা সংকট আর সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে গবেষণা কাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। বিশ্ববিদ্যালয়টি একসময় দেশের মধ্যে অন্যন্য উদাহরণ হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম, বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এ কে এম জাহাঙ্গীর, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজসহ অনেকে।