বর্ণ নির্বাচনের জটিলতায় আটকে আছে সাঁওতালি ভাষার পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রাক-প্রাথমিকে অধ্যয়নরত প্রায় ৫০ হাজার সাঁওতাল শিশু। বাংলা ঠিকমত না জানার কারণে প্রাক-প্রাথমিক শেষ করতেই তাদের অতিরিক্ত কয়েক বছর লেগে যাচ্ছে। ঠিকমত বাংলা বলতে ও বুঝতে না পারলেও বাংলাতেই পড়াশোনা করতে হচ্ছে সাঁওতাল শিশুদের।
সাঁওতালদের দাবি, সাঁওতালি ভাষার বর্ণ নির্বাচন করে তাদের শিশুদের মাতৃভাষায় লেখাপড়ার সুযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি সাঁওতাল ভাষা সংরক্ষণের ও উচ্চতর গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সাঁওতাল ভাষা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
এ ব্যাপারে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য, আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, সাঁওতালি ভাষায় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ গবেষণা ও সংরক্ষণকে গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের উচিত সাঁওতাল ভাষা বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে কমিটি করে বর্ণ নির্বাচন করে দ্রুত পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন।
এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মানিকুল ইসলাম দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, মাতৃভাষায় কথা বলা, পড়ালেখা সবার অধিকার। সাঁওতালদেরও নিজের ভাষায় পড়ালেখার সুযোগ দিতে হবে। তাদের বর্ণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে অলচিকি অনেক পুরাতন। সেক্ষেত্রে অলচিকি বর্ণমালাতেই পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা উচিত।