সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মো. শহীদুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলামের কিছুই নেই। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস-ঐতিহ্যের আলোকে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সিরাত সেমিনার ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শহীদুল ইসলাম বলেন, ইসলামী শিক্ষা ছাড়া যতই শিক্ষা গ্রহণ করা হোক না কেন, প্রকৃত মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা যাবে না। জাগতিক ও পরকালীন জীবনের জন্য কুরআন ও হাদিসের শিক্ষা অর্জন করতে হবে। এজন্য কুরআনের বিশেষ আয়াত ও হাদিসগুলো পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার অসারতা বনাম মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) প্রবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান।
তিনি বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষাব্যবস্থার ওপর জাতির অস্তিত্ব নির্ভর করে। অনেক কাটাছেঁড়া ও পরিবর্তনের পরও বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় গলদ রয়ে গেছে। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা সমাজের পদে পদে অসারতা প্রমাণ করেছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে কার্যকর করতে হলে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের আলোকে ঢেলে সাজাতে হবে। তাহলেই শিক্ষা সর্বতোভাবে দেশ, জাতি ও উম্মাহর জন্য কল্যাণকর হবে। বিশ্বনবী (সা.) প্রবর্তিত শিক্ষাব্যবস্থা সর্বাঙ্গীন কল্যাণকর প্রমাণিত হয়েছে।
সেমিনার শেষে সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রচনায় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দুই গ্রুপের ২০ জন বিজয়ীর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি ড. খলিলুর রহমান মাদানী, হেফাজতে ইসলামীর নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী, সহকারী অ্যার্টনি জেনারেল ড. গোলাম রহমান ভূইয়া, টেকেরহাটের পীর মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, আবু তাহের জিহাদী, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব (ভারপ্রাপ্ত) মুফতি ফখরুল ইসলাম, বিখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ আলী হাসান উসামা, অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন প্রমুখ।