শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলা করেছে বহিরাগতরা। ইটপাটকেলের আঘাতে প্রায় ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিয়ে নিরাপত্তাকর্মী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডার পর এ হামলা হয়।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ঢুকতে গেলে নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দেন। পরে লোকমান হোসেন নামে আরেক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলার সময় বহিরাগতরা বাগ্বিতণ্ডায় জড়ায় এবং সেখান থেকে তারা ফিরে যায়। একটু পরে স্থানীয় কিছু লোকসহ এসে ছাত্রদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ সময় অনেকের হাতে দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় গেটের সামনে যুবলীগের অফিস থেকে বের হয়ে যুবলীগ নেতা দুলালের নেতৃত্বে অনেকেই হামলায় অংশ নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এ সময় শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এতে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং গেটের সামনে অবস্থান নেয়। ভেতরে শিক্ষার্থীরাও অবস্থান নেন। এ সময় যুবলীগ নেতা দুলালের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তাঁরা।
আহত ৯ শিক্ষার্থীকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানান সহকারী প্রক্টর মিজানুর রহমান। ছুড়ে মারা ইটে অনেকের মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লাগে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের ওবায়দুল রহমান, বাংলা বিভাগের ইসমাইল হোসেন, রাকিব, লোকপ্রশাসন বিভাগের অমিও, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শৈশব এবং আলমগীর নামে এক শিক্ষার্থী। অন্যদের নাম জানা যায়নি। প্রক্টরিয়াল বডির দুই সদস্য এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রধান ড. আশরাফ সিদ্দিকীর গায়েও ইট লাগে।
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সহকারী প্রক্টর মিজানুর রহমান বলেন, যুবলীগ নেতা দুলাল ও তার অফিসের বিষয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে।
জালালাবাদ থানার ওসি সাইফুল আলম রুকন জানান, পুলিশের হস্তক্ষেপে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। স্থানীয়দের মধ্যে চার থেকে পাঁচজন আহত হয়েছেন।