কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিনের কাছে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে জেলে নিহতের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ঢাকায় অবস্থিত মিয়ানমারের দূতাবাসে পত্র পাঠিয়ে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
গত বুধবার সেন্টমার্টিনে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিতে নিহত হন ওসমান (৬০) নামের এক জেলে। তিনি টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপের কোনাপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন।
প্রতিবাদ বার্তায় জানানো হয়, বাংলাদেশের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের কাছে ওসমানসহ অন্যান্য জেলেরা মাছ ধরছিলেন, তখন প্রায় ৫৮ জন বাংলাদেশি জেলেকে ছয়টি মাছ ধরার নৌকাসহ অপহরণ করা হয়। বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও মিয়ানমার নৌবাহিনীর মধ্যে যোগাযোগের পর অবশেষে গতকাল দুই দফায় নৌকাসহ জেলেদের ছেড়ে দেয়া হয়।
বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারকে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তিরোধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমারকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের জলসীমার অখণ্ডতার প্রতি পূর্ণ সম্মান জানানো এবং আর কোনো উসকানি থেকে বিরত থাকার বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় কূটনৈতিক নোটে।
জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ট্রলারসহ জেলেরা মিয়ানমার নৌবাহিনীর হাতে অপহরণের শিকার হন। কোস্ট গার্ড যোগাযোগ করলে প্রথমে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মো. ওসমান গনিসহ ১১ জনকে বহনকারী একটি ট্রলার ছেড়ে দেয়া হয়। পরে বাকি জেলে ও তাদের ট্রলারগুলোকে ছেড়ে দেয় মিয়ানমারের নৌবাহিনী।