বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিলটি বের করেন একদল শিক্ষার্থী। বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার রাজু ভাস্কর্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মোস্তাকিম বলেন, ভারতীয়রা কোনো কালেই আমাদের বন্ধু ছিলো না। কিছুদিন আগে স্বর্ণা দাস আর আজকে শ্রী জয়ন্তুকে ভারতীয় বি এস এফ হত্যা করেছে। ভারতীয়রা সাম্প্রদায়িক দাঙা লাগানোর চেষ্টা করছে।
এ সময় রানা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ভারতের সীমান্তে চীন ও আছে তারা তো কখনোই চীনের নাগরিকদের ওপর গুলি করেনি তাহলে কয়েকদিন পর-পর ভারতীয় বি এস এফ সীমান্তে বাংলাদেশি কেনো মারছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কোনোভাবেই সম্প্রতির সম্পর্ক নয়। ভারত যুক্তিসঙ্গত পানি হিস্যা চুক্তি না মেনে আমাদের প্রয়োজনের সময় তিস্তা ও ফারাক্কা বাঁধ থেকে শুরু করে সবগুলো বাঁধের পানি বন্ধ করে দিয়ে ফসলের ক্ষতি করে। আবার অপ্রয়োজনীয় সময়ে পানি ছেড়ে দিয়ে বন্যায় ডুবিয়ে আমাদের মারে তারা। আবার তারা সীমান্তে মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
তিনি আরো বলেন, ছাত্রজনতা রক্ত বিসর্জন দিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। সীমান্তে আমাদের ভাই বোনদের লাশ দেখার জন্য কি আমরা রক্ত দিয়েছি। মোদী সরকার বাংলাদেশের মানুষকে কি মনে করে সেটি আমাদের জানা দরকার। ভারতীয় আগ্রাসন বাংলাদেশের নাগরিকরা মেনে নেবে না।
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁয়ে বালিয়াডাঙ্গি ধনতলা সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের শ্রী জয়ন্ত কুমার (১৪) নামের এক বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে।