পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধূলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোশাররফ হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকার এক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় বিচার না পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ধূলিয়া ইউনিয়নের মঠবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী ওই প্রধান শিক্ষক।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান শিক্ষক তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, ধূলিয়া স্কুল এন্ড কলেজের কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য আমি। কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি শাহ্ আলম মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বরাবরে অধ্যক্ষ এসএম জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত, স্বাক্ষর জালিয়াতি, অদক্ষতা, নিয়োগ বাণিজ্য ও কর্তব্যে অবহেলাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ দাখিল করেন।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই তদন্ত কমিটি কলেজের অধ্যক্ষ এসএম জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই প্রতিবেদনের আলোকে গত ২৪ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কলেজ-৩) তপন কুমার দাস ধুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ এসএম জহিরুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেন। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় পরবর্তীতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গত ১৮ এপ্রিল বিকালে গভার্নিং বডির সভা ডাকা হয়েছিলো। ওই সভায় আমি উপস্থিত হই। এতে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয় অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম ও তাঁর ভাতিজা নাঈম সিকদার তারেক। সভার পর আমি বাড়ী ফেরার পথে ধূলিয়া স্কুলের সামনের সড়কে অধ্যক্ষের ভাতিজা ও এলাকার প্রভাবশালী নেতা নাঈম সিকদার তারেক প্রথমে ভয়-ভীতি দেখায় ও গালমন্দ করে এবং পরে কিলঘুষ ও লাথি মেরে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় বাউফল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ধুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোসা. মাহমুদা আক্তার, ধূলিয়া ইউপির মহিলা সদস্য মোসা. ফরিদা বেগম ও মঠবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাও. মো. সোলায়মান প্রমুখ।