সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পূরণের কথা মনে হলেই ভোগান্তির চিত্র ভেসে ওঠে। যেখানে সব ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় চলে সেখানে ফরম পূরণে এখনো প্রাচীন আমলের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। প্রশাসনকে অনলাইনে ফরম ফিলাপের ব্যবস্থার জন্য একাধিকবার জানানোর পরও আশার আলো দেখেনি শিক্ষার্থীরা। এমনটিই অভিযোগ করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ফরম পূরণের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে প্রথমে ডিন অফিস বা উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ভবন থেকে ফরম নিতে হয়। এরপর সেই ফরম পূরণ করে কোষাধ্যক্ষ অফিস থেকে আরেকটি টাকার রশিদ নিয়ে হিসাবরক্ষণ অফিসারের (ক্যাশ) স্বাক্ষর নিতে হয়। তারপর সেই রশিদ ও সেমিস্টার ফিয়ের টাকা নিয়ে জমা দিতে হয় পূবালী ব্যাংকে। পরে আবার ফরম ও টাকার রশিদ নিয়ে কোষাধ্যক্ষ ভবনে এসে কোষাধ্যক্ষের স্বাক্ষর নিতে হয়। এরপর ফরম ও টাকা জমার রশিদ নিয়ে জমা দিতে হয় নিজ হলের অফিসে। হল অফিস থেকে প্রভোস্টের স্বাক্ষরকৃত ফরম পুনরায় ডিন অফিস বা নিজ অনুষদের অফিসে জমা দিতে হয়। এভাবে জটিল ও সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়ায় প্রতি সেমিস্টার ফাইনালের ফরম পূরণ চলে।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি রিফা সাজিদা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার পরীক্ষার ফরম ফিলাপে ছাত্রছাত্রীদের চরম ভোগান্তি শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। প্রযুক্তির আওতায় এনে অনলাইনে ফরম পূরণ করলে ছাত্রছাত্রীদের ভোগান্তি কমবে। তবে অনলাইনে ফরম ফিলাপকে উপলক্ষ করে কোনো বর্ধিত ফি প্রশাসন যেন আরোপ না করে সেটিও খেয়াল রাখতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, আইসিটি সেলের টিম এ বিষয়ে কাজ করছে। আশা করি খুব শিগগিরই অনলাইনে ফরম পূরণের প্রোগ্রাম তৈরির কাজটি সম্পন্ন হবে।
আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, উপাচার্যের নির্দেশে সেমিস্টারের ফরম পূরণের অনলাইনে করার জন্য কাজ চলছে। আগামী সেমিস্টার পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ফরম পূরণ করতে পারবে।