দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের রাজনীতি। নির্বাচনকালীন সরকারের পক্ষে বিপক্ষে অনড় অবস্থানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। এরমধ্যেই সমসাময়িক রাজনৈতিক ইস্যুতে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সেখানে নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিএনপির অন্যতম শীর্ষ এই নেতা। বিএনপি নির্বাচনে গিয়ে যদি জিতে যায়, তা হলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন?— এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশের পরিবেশে এটি কোনো সমস্যাই না। আমাদের দলের চেয়ারপারসন হচ্ছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আগামী নির্বাচনে আমরা যদি জয়লাভ করি, তখন এটা নিয়ে কোনো সমস্যা থাকতে পারে না। এটি সবাই জানে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রী হবেন খালেদা জিয়া। তার অবর্তমানে দায়িত্ব পালন করবেন তারেক জিয়া। এটিই আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত।
বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয় আওয়ামী লীগ সরকার টিকে আছে ভারতের অনুকূল্যে— এ বিষয়ে কী বলবেন? প্রশ্নোত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা এ ধরনের কথা বলি না। বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন সাহেব নিজেই বলেছেন— ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি আ. লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য যেন ভারত সরকার কাজ করে।
তবে আমরা যেটা মনে করি, সরকার দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। জনগণের যেগুলো অধিকার সেগুলোকে হরণ করে একদলীয় একটা শাসনব্যবস্থা করার জন্য দেশে একটা কর্তৃত্ববাদী সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। নিপীড়নের মধ্য দিয়ে ভিন্নমতদের দমনের চেষ্টা করেছে।
শুধু তাই নয়, সাধারণ মানুষদের চাওয়াকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে। আমরা জনগণের শক্তির ওপর বিশ্বাস করি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নেমেছি। ১৯৭০ এবং ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে জনগণ যেভাবে তাদের অধিকার আদায় করেছিল, ঠিক সেভাবে এখনো আদায় করবে বলে বিশ্বাস করি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ভোটের অধিকার ফিরে পেতে, মানবাধিকারগুলোকে রক্ষা করতে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য মুক্ত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জনগণই কাজ করবে বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব।