বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের কাজে বাধা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমআদালত।
মঙ্গলবার গভীর রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে তুলে নেয়ার পর বুধবার গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর ধানমন্ডি থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৩ মে ধানমন্ডি সিটি কলেজের সামনে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ১০-১৫ হাজার নেতাকর্মী পদযাত্রা শেষে চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেন। এছাড়া পুলিশের ওপর আক্রমণ, সরকারকে উৎখাত ও জনসাধারণের জানমালের ক্ষতিসাধন, গণপরিবহন ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ত্রাস সৃষ্টি ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেন।
এসময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর হামলা করেন এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। যাতে পুলিশ কর্মকর্তা ও ফোর্স গুরুতর আহত হন। পরে সরকারি সম্পত্তি, জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য আসামিদের ধাওয়া করলে তারা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্নভাবে ছত্রভঙ্গ হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি করে।
এ মামলায় এ্যানি এজহারনামীয় ২৯ নম্বর আসামি বলে জানান থানার ওসি পারভেজ ইসলাম। তিনি জানান, এ্যানির বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুরে আরো দুটি মামলায় ওয়ারেন্ট ইস্যু করা আছে।
![](https://dainikshiksha.com/public/uploads/2023/10/Shahid%20Uddin%20Chowdhury.jpg)
এদিকে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেফতারের বিষয়ে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, তার বিরুদ্ধে মোট দুটি ওয়ারেন্ট আছে লক্ষ্মীপুর থানায়। জেলা পুলিশের রিকোয়েস্টের ভিত্তিতে ধানমন্ডি মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পাশাপাশি রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় পুলিশকে আঘাতের মামলায়ও তিনি এফআরআইভুক্ত আসামি। দুটি ঘটনায় ধানমন্ডি থানা পুলিশ তাকে ধরে আনে।
ডিবিপ্রধান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজই অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা। তিনি যে পর্যায়ের নেতাই হোক, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না, হবেও না।
ডিবিপ্রধান আরো বলেন, এ্যানির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট হলেও তিনি আদালতে হাজির হননি, জামিন নেননি। কোনো মামলাতেই হাজির হননি। ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ওয়ারেন্টের কথা এ্যানিকে থানা পুলিশ বারবার জানিয়েছিল কিন্তু তিনি হাজির হননি।
তিনি বলেন, আইন সবার জন্য সমান। তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিই হোক কিংবা অন্য যে কোনো ব্যক্তি। কারও বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ও সুস্পষ্ট মামলা থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।