নরসিংদী জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ফের হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকনের চিনিশপুরের বাসভবন ও জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে খায়রুল কবীর খোকনের উপস্থিতিতে ঘরোয়া মিটিং চলাকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় কার্যালয়ের গেইটের সামনে রাখা সাংবাদিকের মোটরসাইকেল ব্যাপক ভাঙচুর করে হামলাকারীরা।
দলটির নেতাকর্মীরা জানান, সকালে ঢাকা থেকে এসে খায়রুল কবির খোকন ভেতরে প্রবেশ করার পর ছাত্রদলের পদবঞ্চিতরা জেলা বিএনপির চিনিশপুরের অস্থায়ী কার্যালয়ের পকেট গেইট তালাবদ্ধ করে চলে যায়। পরে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের মূল গেইট খোলে ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে আগামী ৮ এপ্রিল সব উপজেলায় অনুষ্ঠিতব্য বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি সফল করতে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রস্তুতিমূলক মিটিং শুরু করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবীর খোকন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুর এলাহীসহ জেলা বিএনপির নেতরা।
তারা আরো জানান, মিটিং শুরু হওয়ার পরপরই অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আসা ছাত্রদলের পদবঞ্চিত ও বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের একটি দল জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ৫-৭টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাংচুর শুরু করে। এসময় সেখানে রাখা সময় টিভির সাংবাদিকের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে ক্ষতিগ্রস্ত করে হামলাকারী বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। হামলায় বিএনপি কার্যালয়ের ভবনের গ্লাস ভেঙে পড়ে। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর সেখান থেকে নিক্ষেপ করা ৮-১০টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে কার্যালয়ের কেয়ারটেকার। খবর পেয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূইয়াসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এর আগে জেলা ছাত্রদলের কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় বিক্ষোভ, মানববন্ধনসহ জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবীর খোকনের গাড়িতে, বাড়িতে ও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আগুন দেয়াসহ ২৬ জানুয়ারি থেকে একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটায় পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, হামলাকারীরা সন্ত্রাসী, তারা সরকার দল ও প্রশাসনের ছত্রছায়ায় এই বর্বর হামলা চালিয়েছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় বারবার সন্ত্রাসীদের এসব হামলায় প্রমাণ হয় প্রশাসন তাদের ছত্রছায়া দিচ্ছে। আমরাও এদেশের নাগরিক, আমাদের নিরাপত্তা দেয়া প্রশাসনের দায়িত্ব, অথচ তাদের প্রশাসন ঘটনা এড়িয়ে যাচ্ছে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূইয়া বলেন, খবর পেয়ে বিএনপির কার্যালয়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। তদন্ত সাপেক্ষে এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।