ঝালকাঠিতে পুলিশের ওপর হামলার মামলায় সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এজাজ হাসান ও নলছিটি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম গাজীসহ ১৪ জন নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে ঝালকাঠির চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পারভেজ শাহরিয়ার এ আদেশ দেন। ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি সঞ্জিব বিশ্বাস দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিএনপির ২১ নেতাকর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন ও সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেনসহ ৭ জনের জামিন মঞ্জুর করেন। বাকি ১৪ জনকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
পুলিশের দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত পদযাত্রার কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান নেয়। তাদের পদযাত্রার কোনো অনুমোতি ছিলো না। পুলিশ তাদের বাধা দিলে বিএনপি নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠি দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে সদর থানার পরিদর্শক ফিরোজ কামালসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়। পুলিশ বিএনপির কার্যালয় থেকে জেলা যুবদলের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমানসহ ১৬ নেতাকর্মীকে আটক করে। এ ঘটনায় পুলিশের এসআই দেবাশীষ মোদক বাদি হয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামসহ বিএনপির ২২ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করেন। তবে মামলায় কেবলমাত্র নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম ঝালকাঠির আদালতে হাজির হননি।
এক প্রেস বার্তায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন জানান, এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে ঝালকাঠি জেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান।
ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন পুলিশের লাঠিচার্জে বিএনপির ২০ নেতাকর্মী আহত হয়। এ ঘটনায় উল্টো পুলিশ বাদি হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করে। ঈদের আগে নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এ বিএনপি নেতা।