বরিশালের সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের পুকুরের একাংশ দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। ছাত্ররা বাধা দিলেও কাজ থামেনি ফয়সাল আহমেদ মুন্না নামের ওই নেতা। লিজ নেওয়ার কথা বলে পুকুরে পাইলিং করছেন তিনি।
মুন্না ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য এবং বিএম কলেজ কর্মপরিষদের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে মুন্না পুকুরের পাশের সরকারি সম্পত্তি লিজের নামে দখল করেছেন। গত মঙ্গলবার হোস্টেলের ছাত্ররা বাধা দিলেও কাজ থামেনি।
জানতে চাইলে কলেজের সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নুর মোহাম্মদ বলেন, কলেজের পুকুরের পাশের ব্যক্তিমালিকানার কিছু জমি লিজ নিয়েছে একটি পক্ষ। কিন্তু কলেজের জমি কীভাবে লিজ নিল, তার বৈধতাই-বা কী, তা জানা নেই। পুকুরের এক পাশে পাইলিং করতে গিয়ে এখন কলেজের পুকুরের জমি দখল হচ্ছে। এ নিয়ে ছাত্ররা উত্তেজিত হয়ে আছে। এ বিষয়ে অচিরেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল আহমেদ মুন্না বলেন, ‘বিএম কলেজের জমির তিনটি প্লট পরে আমার জমি। সেখানে এলাকাবাসী যে রাস্তা করছে তার শরিক হয়েছি মাত্র। অধ্যক্ষের সঙ্গে বিরোধ থাকায় আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।’
স্থানীয় কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব বলেন, ‘যেখানে পাইলিং দিচ্ছে সেই জমি সরকারি। কলেজ কর্তৃপক্ষ জমি মাপজোখ করে সিদ্ধান্ত নেবে। এখানে আমার কী করার আছে?’
বিএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. গোলাম কিবরিয়া বলেন, তিনি দায়িত্বে থাকাকালে পুকুরে পাইলিং করতে আসে একটি পক্ষ। তখন কাজ বন্ধ করা হয়েছিল।