পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ফারজানা লালারুখ।
বর্তমানে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে থাকা লালারুখকে চার বছরের জন্য বিএসইসির কমিশনার করে মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
এর মাধ্যমে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার কমিশন পূর্ণাঙ্গ হল।
আইন অনুযায়ী, চার কমিশনার ও এক চেয়ারম্যান নিয়ে কমিশন গঠিত হয়। নীতিনির্ধারণী যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে কমিশনের বৈঠক করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ফারজানা লালারুখ বলেন, “দোয়া করবেন আমার জন্য, কাজটি যেনো ঠিক মত করতে পারি। যতটা দ্রুত সম্ভব হয় কমিশনে যোগ দেব।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টর্স করে শিক্ষকতায় যোগ দেন ফারজানা লালারুখ। অধ্যাপনা শেষে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি ‘ইনোভেটিভ ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিশনারস অ্যান্ড থিঙ্কারস লিমিটেড’ নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হন। গত জুলাই থেকে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসিতে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে আছেন তিনি।
এর আগে সবশেষ গত ২৮ অগাস্ট বিএসইসির কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আলী আকবর।
গণ আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধানসহ নীতিনির্ধারকদের অনেকে পদত্যাগ করেন।
গত ১০ অগাস্ট পদত্যাগ করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। দুই দিন পর গত ১২ অগাস্ট সকালে দুই কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ ও রুমানা ইসলাম পদত্যাগ করেন।